চলতি বছরের প্রাথমিক সমাপনীর ভাগ্য নির্ধারণী প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চলতি বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেনের স্বাক্ষর শেষে এসংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে এবার এই পরীক্ষা বাতিল হবে কি না।

সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ না করা সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’

চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ব্যাপারেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর কথা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অ্যাপ্রোপ্রিয়েট অথরিটির অ্যাপ্রুভাল এবং অ্যাপ্রোপ্রিয়েট অথরিটির মাধ্যমেই এ ব্যাপারে ঘোষণা দেওয়া হবে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু দেশ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় খুলেছে। জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া বিদ্যালয় খুললেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাত্ক্ষণিকভাবে আবার বন্ধ করেছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে এখনো বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি। সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলেও অভিভাবকরা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে না-ও পাঠাতে পারেন। এতে যারা বিদ্যালয়ে যাবে এবং যারা যাবে না, তাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হবে। সংশোধিত পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নিতে হলে আরো প্রায় ৫০ কার্যদিবস পাঠদান প্রয়োজন। সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যালয় খোলা না গেলে যে কার্যদিবস পাওয়া যাবে, তাতে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির অবশিষ্ট পাঠদান সম্ভব হবে না। 

পঞ্চম শ্রেণির পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩১ কর্মদিবস নির্ধারণ করা ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার আগে পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পাঠদান সম্ভব হয়েছে। গত ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, যা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে মোট ৭১ কার্যদিবস বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বিধায় পঞ্চম শ্রেণির ৪০৬টি স্বাভাবিক পাঠদান সম্ভব হবে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ - dainik shiksha চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার ৫ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস, তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর - dainik shiksha ৫ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস, তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002357006072998