চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০৮ টি পদ দীর্ঘদিন খালি। এ ৪৮টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ খালি মোট ৬৭টি। ফলে সিটি কর্পোরেশনের ৪৮ টি বিদ্যালয় পরিচালনায় নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু পদের জন্য কিছুদিন আগে পরীক্ষা হলেও এখনো নিয়োগ হয়নি।
এসব স্কুলে প্রায় ১ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদের বিপরীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে শিক্ষক রয়েছে মোট ৭১২ জন। এরমধ্যে স্থায়ী শিক্ষক ৫২০ জন এবং অস্থায়ী শিক্ষক ১৯২ জন। সহকারী শিক্ষকের ৪১টি পদই শূন্য।
জানা গেছে, ৪৮টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের ২৬টি, সহকারী প্রধান শিক্ষিকের ৪১ এবং সহকারী শিক্ষকের ৪১ টি পদ খালি আছে।
কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রধান শিক্ষকের পদটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক। এ প্রশাসনিক পদে কাজের স্বার্থে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় প্রধান শিক্ষককে কঠোর হতে হয়। কিন্তু একজন সহকারী প্রধান এবং সহকারী শিক্ষকের পক্ষে সবসময় কঠোর হওয়া সম্ভব হয় না। দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে কিছু সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের কাজ ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারলেও অনেকেই তা পারে না। এছাড়া একজন সহকারী শিক্ষক যখন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন, স্বভাবিকভাবেই তার পাঠদানে কিছুটা সমস্যা হয়ে থাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রধান শিক্ষক নেই এমন একটি বিদালয়ে দায়িত্ব পালন করা এক সহকারী শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, একটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিভিন্ন জটিলতায় পড়তে হয়। একজন প্রধান শিক্ষক যেভাবে বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ সামলাতে পারে, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক সেভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে না। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গেলে ক্লাসের সমস্যাও হয়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকা এসব পদ শিগগিরই পূরণ হবে। ইতোমধ্যে ১০ জন প্রধান শিক্ষক এবং ২৭ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসব পদের জন্য ইতোমধ্যে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।