নওগাঁর নিয়ামতপুরে চাকুরিজীবী চাচার পরিবর্তে পরীক্ষা দেওয়ায় ভাতিজাকে আটক করা হয়েছে। রোববার বেলা সোয়া ১১ টায় নিয়ামতপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা জরিমানা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ভূয়া পরীক্ষার্থী হলেন, শ্যামাপদ (১৯)। তিনি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গাহইল গ্রামের ভবেশ বর্মনের ছেলে এবং নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে টিকরামপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজন্টে কলেজের এইচএসসি ভোকেশনাল শাখার ২য় বর্ষের পরীক্ষা চলছিলো। কেন্দ্রে মোট ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ পরীক্ষায় কার্তিক বর্মনের নামে এক পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে তার ভাতিজা শ্যামাপদ পরীক্ষা দিচ্ছিল।
জানা গেছে, কার্তিক বর্মন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গাহইল গ্রামের মনজম বর্মনের ছেলে। সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলম, একাডেমিক সুপারভাইজার জাকির হোসেন, কেন্দ্রে সচিব গোলাম শফি কামাল কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করে আটক করেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শ্যামাপদ নিজের অপরাধ স্বীকার জানান, তিনি তার কাকা কার্তিক বর্মনের বদলে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। কার্তিক বর্মন সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
নিয়ামতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সকালে যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সে পরীক্ষাতে একজন পরীক্ষার্থী অন্য আরেকজন পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে আসছিলো। বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে আমরা তাকে শনাক্ত করতে পারি। এরপর আটক করে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ সালে ৩ (খ) ধারা অনুযায়ী তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।