চারদিনেই সারবে করোনা, দাবি বাংলাদেশি গবেষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

করোনা চিকিৎসায় আবারো সুখবর দিল বাংলাদেশ। দেড় মাসের গবেষণায় সাফল্যের দেখা পাওয়ার দাবি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের একদল চিকিৎসকের। অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল মেডিসিনের সিঙ্গেল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে চারদিনেই কোভিড-১৯ উপশমের দাবি করছেন তারা।

তবে গুরুতর রোগীদের বিষয়ে এখনও কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না তারা। এমন গবেষণাকে স্বাগত জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বিষয়টি যাচাইয়ে কাজ করছেন তারা। প্রচলিত দুটি ওষুধের সমন্বিত প্রয়োগে কোভিড চিকিৎসায় নতুন পথ খুঁজছেন বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম, এক সহযোগী চিকিৎসককে নিয়ে প্রায় দেড় মাস গবেষণা করেন। তাদের দাবি, অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল মেডিসিন ইভারমেকটিনের সিঙ্গেল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ মাত্র তিন দিনে ৫০ শতাংশ কমে যাওয়া আর চারদিনে টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসার বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন তারা। ষাট জন রোগীর ওপর গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা।

গবেষক অধ্যাপক ডা. তারেক আলম বলেন, অস্ট্রেলিয়ার হাসপাতালে এইটার একটি টেস্ট স্টাডি হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে ৪৮ ঘণ্টাতে নিশ্চিত করে। সেটার ওপর ভিত্তি করেই আমরা এই ওষুধ ব্যবহার করেছি। আমরা ওষুধ ব্যবহার করার পর বেশিরভাগেরই করোনা সেরেছে।

ডা. তারেক আলম জানান, প্রাথমিক অবস্থায় সুফল মিললেও গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে কতটা কাজ করবে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন তারা। ডা. তারেক আলম আরো বলেন, যেহেতু আইসিইউ নেই, খুব বেশি খারাপ রোগীদের আমরা ভর্তি করিনি, সেক্ষেত্রে তাদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে তা বলা কঠিন। এদিকে এমন গবেষণাকে স্বাগত জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, পর্যাপ্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এই গবেষণা সঠিক প্রমাণ হলে তা গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ওনারা যেটা করেছে সেটা যদি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাফল্য আসে, সেক্ষেত্রে সরকার রিসার্চ রাখবে। সম্মান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই গবেষণা চালানো হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037548542022705