প্রায় চার দশক আগে ছোট ভাইদের সঙ্গে প্রতিদিন স্কুলে যেতে চেয়েছিলেন ১০ বছরের মেয়ে। স্থানীয় মৌলভীর পরামর্শে সেই সময় তার স্কুলে যাওয়া আটকে যায়। ওই মেয়েশিশুই আজ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের দেরা ইসমাইল খান এলাকার বাসিন্দা এহতেশাম হাসানের মা। মায়ের মন ভাঙার ঘটনার প্রতিবাদ করে আলোচনায় এসেছেন এহতেশাম।
নিজের প্রতিবাদের কথা সংবাদমাধ্যম ডনের ফিচার পাতায় তুলে ধরেছেন জলবায়ু ও পরিবেশকর্মী এহতেশাম। তিনি বলেন, ১০ বছর বয়সে আমার মা যখন স্কুলে যেতে চাইলেন, নানী খুশি হয়েছিলেন, কাঠের একটি স্লেটও কিনে দিয়েছিলেন। নিয়মিত স্কুলে যেতেন মা। প্রতিদিন স্লেটটি পরিষ্কার করতেন। একদিন স্থানীয় একজন মৌলভী বাসায় এলে ঘরে স্লেট দেখে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এটা কার। নাতনীর কথা বলতেই তিনি বলেন, ‘মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজন নেই। লিখতে শিখলে তারা পরপুরুষকে চিঠি লিখবে, তাতে পরিবারের সম্মান নষ্ট হবে।’ এরপর আর স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি মা।
এবারের নারী দিবসের র্যালিতে হলুদ কাগজের ওপর কালো কালিতে ‘মার্চ ফর মাই মম, হু ওয়াজ নট অ্যালাউড টু গো টু স্কুল’ লিখে নিয়ে পদযাত্রা করেন এহতেশাম। তার এমন একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছড়িয়ে পড়ে টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে।
এহতেশাম খাইবার পাখতুনখাওয়ার সরাইকি গোষ্ঠীর একজন। তারা যেখানে থাকেন ওই অঞ্চলটির লোকজনের সরাইকিস্তান নামে আলাদা প্রদেশ করার জোর দাবি রয়েছে।
সূত্র : ডন অনলাইন