কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা পুলিশ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মফিদুর রহমান আমিন মুকুল (৫৫) নামে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪টি পৃথক প্রতারণার মামলায় ৬ বছর সাজা হয়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার আরও একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ওই প্রধান শিক্ষককে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বজরা সবুজ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিদুর রহমান আমিন মুকুল তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রতিশ্র“তি দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছে বিভিন্ন সময় প্রায় ৪০ লাখ টাকা নেন। এর বিপরীতে প্রমাণ হিসাবে ওই প্রধান শিক্ষক তার স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক দেন। পরে তাদের চাকরি না হওয়ায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে প্রায় দেড় বছর তিনি পলাতক ছিলেন। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার শ্যামলী মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী মজনু মিয়াসহ আরও অনেকে জানান, ওই প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নেন। ২০১৫ সালে মজনুর কাছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা নেন। পরে চাকরি এবং টাকা ফেরত না পেয়ে আদালতে মামলা করেন। তার মামলায় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। উলিপুর থানা চত্বরে ওই প্রধান শিক্ষকের মেয়ে মুশরা আমিন (১৯) সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। তার অভিযোগ, সংসারের অভাব-অনটনের জন্য দাদন ব্যবসায়ী ফজলুল হকের কাছে স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক বই বাবা বন্ধক রাখেন। প্রতিমাসে ওই দাদন ব্যবসায়ী ১০ হাজার টাকা করে নিতেন। ওই দাদন ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে বিভিন্নজনের কাছে চেকের পাতা বিক্রি করেন। তারাই পরে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।