ঈশ্বরগঞ্জে বাবার কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় চা বিক্রেতার দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতা। এ সময় এক ব্যক্তিকে মারধর করেন তিনি। ওই নেতা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ। এ সময় দলবল নিয়ে পিস্তলের দুটি গুলিও ছোড়েন তিনি। এ ঘটনায় জনমনে আতংক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকালে চা বিক্রেতা আবদুল হেকিম আলীনগর গ্রামের নুরুল ইসলাম চুন্নু মিয়ার কাছে পাওনা ৫৫ টাকা দিতে বলেন। এতে চুন্নু মিয়া হেকিমকে থাপ্পড় মারলে উভয়ের মাঝে হাতাহাতি হয়। এ খবর পেয়ে চুন্নু মিয়ার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের ওই নেতা তার দলবল নিয়ে চা বিক্রেতার দোকান ভাংচুর করেন ও পিস্তল দিয়ে ২টি গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করেন। ঈশ্বরগঞ্জ উচাখিলা-সড়কের আলীনগর গ্রামের এয়ারটেল টাওয়ারের পাশেই আবদুল হেকিমের চায়ের দোকান।
প্রত্যক্ষদর্শী আবু সাইদ জানান, ‘রোববার হেকিম তাকে (সাইদ) দোকানে বসিয়ে দুপুরের খাবার খেতে যায়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদ এসে দোকান ভাংচুর করে। আমাকে মারধর করে।’
পাশের ব্যবসায়ী আল-আমীন বলেন, হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনে রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখতে পান ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদ পিস্তল হাতে দলবল নিয়ে ওই দোকানের দিকে যাচ্ছেন।
চা বিক্রেতা আবদুল হেকিম বলেন, রোববার দুপুরের আহার সেরে তিনি দোকানে ফিরছিলেন। এ সময় তিনি হাসানকে গুলি ছুড়তে দেখে ভয় পেয়ে দৌড়ে বাজারের কাছে আলীনগর গ্রামে নিজ বাড়িতে চলে যান। পরে জানতে পারেন তার দোকানটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাকে নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আবুল বাসার, রকিবুল ইসলাম, সুলতান উদ্দিন, উচাখিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল হক ও যুবলীগ সভাপতি সাইদুল হক সরকার জানান, ঘটনা শুনেছি। এটি খুবই দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ প্রচার করছে’। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।