সরকার সব মানুষকে স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের জন্য হেলথ কার্ড থাকবে। ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) পরিকল্পনা কমিশনে দেয়া হয়েছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী এটি পাস করে দেবেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, হেলথ কার্ডে স্বাস্থ্যবিষয়ক সব তথ্য থাকবে। বিদেশে এমন কার্ড দেয়া হয়। আমরাও তাদের মতো করে হেলথ কার্ড দেবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা যেন পরীক্ষা বেশি না দেয় সেজন্য পলিসি তৈরির চেষ্টা করছি। যতটুকু লাগে ততটুকুই পরীক্ষা যেন দেয়া হয়।
সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগসের বিষয়ে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি অনুমোদন হয়ে গেছে, এটার নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গেছে। এটা দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। সারাদেশের সরকারি হাসপাতালের ওষুধ তারা দিতে পারবে। তবে এখন তাদের সেই সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, আমরা চিকিৎসকদের একটি কর্মধারা তৈরি করে দিচ্ছি। ওখানে (হাসপাতালে) বসে কাজ করবে, রোগীদের দেখবে। ওই রোগীরা হয়তো অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হবেন তাদের তারা দেখবেন। একাধিক চেম্বার থাকবে। দুপুর ২টার পরে তারা সেখানে (চেম্বারে) বসবেন। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেম্বার হাসপাতালের মধ্যেই। কাজেই সরকারিভাবেও আমরা এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি আমরা অল্পদিনের মধ্যে এটা বাস্তবায়ন করবো।
আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে সব জেলার আইসিইউর ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে ডায়ালায়সিসও করানো হবে। করোনার মধ্যে আমাদের কোনো কাজ বন্ধ ছিল না। চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। করোনার মধ্যেও মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। মেডিকেলের সব পরীক্ষা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।