পাঁচ দিন ধরে বনেই ঘুরছিলো মারাত্মক আঘাত পাওয়া এক বানর। যন্ত্রণায় কাতর বানরটি গত ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিজে থেকেই আসে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তার শরীরের পেছনের অংশে গভীর ক্ষত। সেদিন এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের মতো বানরটি ফের হাসপাতালে এসে হাজির হয়। সেদিন বিকেল পাঁচটার দিকে বানরটিকে ড্রেসিং করে প্রথমবারের মতো ব্যান্ডেজ করা হয়।
ব্যান্ডেজ করার সময় বানরটি চুপচাপ বসে ছিলো। ব্যান্ডেজ শেষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের বনে চলে যায়। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দিনের মতো আবার হাসপাতালে আসে বানরটি। ফের তার ক্ষতস্থান ড্রেসিং করে চিকিৎসা দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এস কাদেরী টিচিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে বানরটি খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়। তারপর সে আরও দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। পরে তাকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, তাকে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল। গতকাল শুক্রবার সেটি মারা গেছে।
বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন ওই বানরটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৮ আগস্ট সীতাকুণ্ডের নামারবাজার এলাকার একটি খুঁটিতে বৈদ্যুতিক শকে আহত হয় বানরটি। খুঁটি থেকে নিচে পড়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পায়। পরে সেটি ঘটনাস্থলে থেকে চলে যায়। পাঁচ দিন পর নিজে থেকেই চিকিৎসা কেন্দ্রে আসে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।