চুয়েটে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

চুয়েট প্রতিনিধি |

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য।  

চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এতে আরও বক্তব্য দেন স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এম কে জিয়াউল হায়দার, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন ও স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বিজয় উদযাপনের আনন্দটা বাঙালির কাছে ম্রিয়মাণ ছিলো। কারণ, বাঙালি জাতির রূপকার তখনও পাকিস্তানে বন্দি। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি যখন স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন তখনই প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায় দেশ। বঙ্গবন্ধু একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির দেশকে এগিয়ে নিতে অনেক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তবে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখনও অপপ্রচারে তৎপর। দেশের উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং একটি উন্নত-সম্মৃদ্ধশালী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সজাগ থাকতে হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে - dainik shiksha চলতি মাসে টানা ৪ দিনের ছুটি মিলবে যেভাবে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ - dainik shiksha সিইসিসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন - dainik shiksha রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? - dainik shiksha বাতিল কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা আরও একবছর ভুগবেন কেন? ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে - dainik shiksha ডিআইএতে টাকার খেলা, অভিযুক্তরাই স্কুল অডিটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন অ্যাডহক কমিটি হবে প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি - dainik shiksha প্রাথমিকে স্বতন্ত্র ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027430057525635