চেনাব ভ্যালির অনামি শৃঙ্গে

বিকাশ চন্দ্র সরকার |

হিমাচল। ভারত। দুটি নদী- চন্দ্র ও ভাগা। লাহুল ও স্পিতি জেলায়। তাণ্ডিতে এই দুটো নদী মিলিত হয়ে চন্দ্রভাগা নামে পরিচিত। চন্দ্রভাগা নদী উদয়পুর হয়ে জম্বু ও কাশ্মীর দিয়ে পাকিস্তানে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীটি চেনাব নামেও পরিচিত। আর নদীপাড়ের উপত্যকা চেনাব ভ্যালি নামে পরিচিতি পেয়েছে।  

এই জায়গাটায় খুব একটা ট্রেকিং বা এক্সপিডিশন হয় না। সেখানে খুব কম অভিযাত্রীর আনাগোনা। অল্প পরিচিত চেনাব ভ্যালিতে দু’টি শিখর ‘মাউন্ট দুফাউজোত’ ৬০৭০ মিটার ও ‘মাউন্ট বাহালিজোত’ ৬৩০২ মিটার। ‘হিমালয়াস বেকন কলকাতা’ শৃঙ্গ দু’টি অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে। আমি ওই অভিযানের একজন এক্সপিডিশন মেম্বার ছিলাম।   

১১ জনের দল। ২৮ জুলাই হাওড়া-দিল্লি কালকা মেলে রওয়ানা হয়ে দু’দিন পরের সকালে চণ্ডীগড় পৌঁছুলাম। তারপর প্রায় বারো ঘণ্টা বাস জার্নি করে বিকাল পাঁচটায় মানালি এলাম। মানালিতে দু’দিন থাকলাম এক্সপিডিশানের প্রয়োজনে। সেখান থেকে অভিযানের জন্য আমরা পাহাড়ি বন্ধু জোগাড় করলাম। কিছু টেকনিকাল মাউন্টেনিয়ারিং ইকুপমেন্টস ভাড়া নিলাম নেহেরু ইনস্টিটিউট থেকে। লোকাল বাজার থেকে কাঁচা সবজি সদাই করলাম।  

আগস্ট মাসের এক তারিখে দু’জন মেম্বার লো-অলটিচিউড পাহাড়ি বন্ধুদের জোগাড় করে বাসে করে উদয়পুর চলে গেলো। পরদিন অভিযাত্রী ও আট জন হাই অলটিচিউড পাহাড়ি বন্ধুসহ বাসে করে মানালি থেকে উদয়পুরের উদ্দেশে রওয়ানা দিলাম। বাস কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ লাগেজ একসাথে নিয়ে যেতে অস্বীকার করলো। বেশী টাকা দিয়েও তাদের রাজি করানো গেলো না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হলাম পার্ট বাই পার্ট পরবর্তী ট্রান্সপোর্টে লাগেজ (আমাদের ইকুইপমেন্ট, খাবারদাবার নিয়ে প্রায় ১৭৫ কেজি) উদয়পুরে নিয়ে যেতে।

উদয়পুর থেকে বারো জন লো-অলটিচিউড ও আরও এক জন হাই-অলটিচিউড পাহাড়িবন্ধু পাওয়া গেলো। তাদেরও আমাদের সঙ্গে নিয়ে নিলাম। এবার আমরা ২১ জন পাহাড়ি বন্ধু ও ১১ জন ক্লাব মেম্বার। ৩২ জনের বিশাল টিম। সাথে পাহাড় প্রমাণ লটবহর। পাহাড়ে থাকা ও চড়ার জন্য বিভিন্ন রকমের জামা কাপড়, টেকনিক্যাল পাহাড়ি সরঞ্জাম, টেন্ট, খাদ্য দ্রব্য, আনাজপাতি। 
 
পরদিন, প্রথম দিনের ট্রেকিং শুরু করলাম ‘আরাট গ্রাম’-এর উদ্দেশ্যে। চার  কিলোমিটার মোটোরেবল পথ হেঁটে যেতে হবে। রাস্তা মেরামত হচ্ছে বলে যান বাহন চলছে না। সেজন্য হেঁটেই যেতে হলো। ভায়া ‘মাটগ্রাম’ হয়ে অবশেষে আরাট গ্রাম পৌঁছুলাম। খুব তাড়াতাড়ি, ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে।

আমাদের ট্রানজিট ক্যাম্প আরাট গ্রাম তিন হাজার মিটার উঁচুতে। খুব সুন্দর ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের শাক-সবজি, রামদানা ছাড়াও অন্যান্য ফসলের চাষ হয়েছে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। এই আরাট গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরে  আরগাড নালা। এর মধ্যে পাহাড়ি বন্ধু সমেত বাকি মেম্বাররাও লাগেজ নিয়ে উদয়পুর থেকে পরবর্তী বাসে করে চলে এলো। 

দুজন অভিযাত্রীর সঙ্গে এক জন হাই অলটিচিউড বন্ধু সামনে বেস ক্যাম্পের রাস্তা রেকি করার জন্য এগিয়ে গেলো। তারা সন্ধ্যায় ফিরে এসে রিপোর্ট দিলো। আগামীকাল ‘ইউ আর গাড’ নালার ডান দিক দিয়ে যেতে হবে। এরপরে দু’কিলো মিটার দূরে একটি স্নো-ব্রিজ পার হতে হবে। 

পর দিন ৪ আগস্ট। ট্রেক শুরু হলো বেজ ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্নো-ব্রিজের কাছে প্রত্যেক অভিযাত্রী চলে এলাম। এখানে এসে আমরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়লাম। নদীর বাঁদিক দিয়ে যাব, না কি নদীর ডান দিক দিয়ে যাওয়া উচিত।

দুটো দলে ভাগ হয়ে গেলাম। একটা দল ডান দিক দিয়ে, আর অন্য দল বাঁ দিক দিয়ে এগিয়ে গেলাম। আমরা কিছু দূর গিয়ে একটা ভয়ঙ্কর সরু স্নো-ব্রিজ খুব সাবধানে পার হলাম। আড়াই ঘণ্টা পর দুটি দলই এক জায়গায় এসে মিলিত হলাম। জায়গাটা বেশ চওড়া, মোলায়েম ঘাসে পরিপূর্ণ। অনেকখানি জায়গা সমতল। সামনে উত্তঙ্গ বরফাবৃত শিখরাবলি। এক সময় আমাদের দলের সদস্য প্রবাল হাই-অলটিচিউড অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করলো। মাথাধরা, বমিবমি ভাব।  টিমের ডাক্তার সমীরণ দেখে বললো- আর বেশি দূর না এগিয়ে অসুস্থ সদ্যস্যের বিশ্রাম প্রয়োজন। কিছুটা এগিয়ে আর একটা স্নো-ব্রিজ পেরিয়ে বেস ক্যাম্প-এর জন্য ভাল জায়গা পেয়ে গেলাম। স্থির হল এখানেই টেন্ট লাগানো হবে । ডাক্তারের কথামত প্রবালকে তাড়াতাড়ি একটি টু-মেন টেন্ট পিচ করে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো স্লিপিং ব্যাগের ভেতর। বেস-ক্যাম্পের উচ্চতা তিন হাজার ৯০০ মিটার। ঠাণ্ডার প্রকোপ বেশী। ডান দিকে ‘আর গাড’ নালার ধারে আমাদের বেস ক্যাম্প। 

পর দিন, ৫ আগস্ট সকাল সকাল আমি, নারায়ণ ও উদয়ন, সঙ্গে দেবী সিং হাই-অলটিচিউড পাহাড়ি বন্ধুকে নিয়ে অ্যাডভান্স বেস ক্যাম্পের রাস্তা রেকি করার উদ্দেশ্যে বের হলাম। বাকী মেম্বাররা ক্যাম্প সেট-আপ ও রান্না এবং অন্যান্য কাজে লেগে পড়লো। আধঘণ্টার মধ্যে একটি অনামা গ্লেসিয়ারের স্নো-আউট দেখতে পেলাম। এটাই আমাদের রাস্তা হতে পারে বলে মনে হল। এই গ্লেসিয়ারের রাইট লেটারাল মোড়েনের রিজ দিয়ে এগিয়ে গেলাম। রিজের নিচে সেখানে সবুজ রঙ-এর গালি, বহু পুরনো গ্লেসিয়ার। ঠিক হলো এখানে অগ্রবর্তী বেস ক্যাম্প হবে। রিজের উপর দিয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখা গেলো, প্রায় পাঁচশ মিটার বিস্তৃত ঘন নীলাভ বহুপুরোনো আইস-ফল জোন। বিক্ষিপ্ত ছড়ানো ছিটানো ক্রিভার্সে পরিপূর্ণ।  কম বেশি প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি গ্র্যাডিয়েন্ট অর্থাৎ পাহাড়ি টাল। রেকি করে ওখান থেকে সবাই ফিরে এলাম বেস ক্যাম্পে। ইতোমধ্যে উচ্চ-উচ্চতাজনিত অসুস্থ-মেম্বার প্রবাল, আগের থেকে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে । 
 
রাতে দল মিটিং-এ ঠিক হল পরদিন, মনবাহাদুর (হাই অলটিচিউড পাহাড়ি বন্ধু) এর সঙ্গে এক জন সদস্য নিচে উদয়পুর গিয়ে জি.আর.ই.এফ (গ্রিফ) থেকে ওয়ারলেস সেট চার্জ করে নিয়ে আসবে।
   
পরদিন, বেস থেকে লোড ফেরি করার জন্য সব মেম্বার ও সব পাহাড়িকে  উপরে পাঠান হলো।  লিডার ও এক জন মেম্বার বেস ক্যাম্পে থেকে গেলো।  

৭ আগস্ট। অ্যাডভান্সড বেজ ক্যাম্পে মালপত্র নিয়ে যাওয়া হলো।  উদয়পুরে এক জন মেম্বার মনবাহাদুরের সঙ্গে নিচে গেলো ওয়ারলেস সেট চার্জ করতে। 

মাউন্ট দুফাউজোত ও বাহালিজোত শৃঙ্গ দু’টির মাঝে পাঁচটি পয়েন্ট আছে। এসব পয়েন্টের উচ্চতা পাঁচ হাজার পাঁচশত মিটার থেকে ছয় হাজার মিটার পর্যন্ত। বাহালিজোত শৃঙ্গটি দুফাউজোত শৃঙ্গের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে। আরও তিনটি পয়েন্ট আছে এই দু’টি শৃঙ্গের মাঝ বরাবর। আমরা কিছুটা বিভ্রান্ত। শৃঙ্গগুলি অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া খুব একটা সুবিধার নয়। যে কোনো সময় দুর‌্যোগ নামতে পারে।  আমরা প্রস্তুত আছি।
    
মৃণাল, নারায়ণ ও আমি, লোয়ার মোড়েনের একদম শেষে দেখলাম একটি স্নো-কভার্ড ডোম আকৃতির অনামা শিখর। ভাবলাম, এটাই বুঝি ‘মাউন্ট দুফাউজোত’। যেটা ম্যাপে দেখানো আছে। আরো জানতে পারলাম, বাহালিজোতের পরে আর একটি পয়েন্ট ৬০৬৯ মিটার, যেটার কোনো নামই নেই। ওই স্থানে রেকি করে পয়েন্ট ৬০৬৯ মিটার শিখরটি দেখতে পেলাম না। কিছুটা এগিয়ে  আরো দেখলাম, ওইখানে একটি গ্লেসিয়ার দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। সবাই কিছুটা চিন্তিত!  

টিম দুই এর উদয়ন, বিভুজিত ও শুভাশিস ৮ তারিখে আইস ফলের নিচ দিয়ে  উপরে যাওয়ার জন্য রাস্তা ঠিক করবে বলে এগিয়ে গেলো।  কিছুদূর এগিয়ে দেখা গেলো, প্রচুর ক্রিভার্সে পরিপূর্ণ পুরো এলাকাটা ফুটিফাটা। ওইখান থেকে ফিরে এসে পুরনো গ্লেসিয়ারের উপর ক্যাম্প-১ স্টাবলিশ করলাম। বহু পুরনো গ্লেসিয়ার, ছোট বড় বোল্ডারে পরিপূর্ণ মোড়েনের উপর জল কাদা মেশান পাথর। সেই দিন রাতে বিভুজিত, উদয়ন, নারায়ণ ও আমি সাথে তিনজন পাহাড়ি নিয়ে সেখানে মোড়েনে’র উপরে উৎকণ্ঠিত রাত কাটাতে বাধ্য হলাম। 

পরদিন ৯ আগ্সট সকাল। উপরের দিকে রাস্তা খোলার জন্য আইস-ফলের উপর দিয়ে, বোল্ডারজোন অতিক্রম করে বাহালিজোতের পূর্ব দিক ঘেঁষে এগিয়ে গেলাম। প্রায় তিনশ মিটার এগিয়ে শক্ত বরফের দেওয়াল ধরে রোপ আপ করে এগিয়ে যাচ্ছি। 

উপরে উঠে দেখা গেলো, যতো দূর দৃষ্টি যায় ক্রিভার্স ভর্তি ফুটি ফাটা। এগোবার রাস্তা নেই। আর আমাদের সাথে মইও (ল্যাডার) নেই।  অগত্যা সেদিন ফিরে এলাম ক্যাম্প ১–এ । 

তার পরদিন সব মেম্বার এবিসিতে ফিরে এসে সবাই আলোচনা করে ঠিক করি, দুটি দলের মধ্যে একটি মাত্র দল বাহালিজোত ও সেই অনামা শৃঙ্গের দক্ষিণ দিক দিয়ে উঠার চেষ্টা করবো। 
  
১০ আগস্ট বিভুজিত, উদয়ন, নারায়ণ ও আমি সঙ্গে ৪ জন হাই-অলটিচিউড বন্ধু নিয়ে ভোর পাঁচটার সময় বের হলাম। প্রত্যেক মেম্বারের সাথে ক্র্যাম্পন, হাতে আইস এক্স। দুটি গ্রুপে রোপ আপ করে নিজেদের ছন্দে আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠতে লাগলাম। কন্‌ কনে্‌ ঠাণ্ডায় জমা বরফে ক্লাইম্বিং বুটের মস্‌ মস্‌ শব্দ ছাড়া কোন আওয়াজ হচ্ছে না। পুরো পথ বোল্ডারে পরিপূর্ণ। আবহাওয়া শান্ত। প্রভাত সূর্যের হাল্কা রক্তাভ বর্ণের প্রতিফলন। এ এক মায়াবী রূপের স্নিগ্ধ প্রলেপ। প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ওয়ারলেসের মাধ্যমে এবিসিতে যোগাযোগ রাখছি। পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিচ্ছি। এই অঞ্চলের পাহাড়ের প্রকৃতি খুবই ভঙ্গুর। যেখানেই হাত রাখছি বোল্ডার খুলে খুলে আসছে। খুব সাবধানে মন্থর গতিতে উপরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বরফ ও পাথর মেশানো পুরো পথ। গ্র্যাডিয়েন্ট ৬০ ডিগ্রি মাথার উপর নীলাম্বরী ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের ছড়াছড়ি। রোপ আপ করে আমরা ছয় হাজার ৬৯ মিটার পয়েন্ট শিখরকে লক্ষ করে এগিয়ে চলেছি। দুটো রোপে ভাগ হয়ে সোজাসুজি চলেছি। কখনো আড়াআড়ি, আবার কখন এঁকেবেঁকে। বেশ কিচ্ছুক্ষণ চলার পর প্রত্যেকেই বেশ ক্লান্ত। পায়ে পায়ে উপরে উঠছি। 

এখন আকাশ পরিষ্কার। আমরা শৃঙ্গের কাছাকাছি। চূড়া ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। অবশেষে আমরা পৌঁছে গেলাম। দুপুর দুটা ৪০ মিনিটে আমরা একে একে প্রত্যেকে অনামা শৃঙ্গের চূড়ায় উঠলাম। 

এ চূড়ায় আমরাই প্রথম উঠলাম। আমাদের সে কি উল্লাস। বিভুজিত ও উদয়নের প্রথম শিখরে উঠা।  সাথে নারায়ণ, আমি, ৪ জন পাহাড়ি বন্ধু দেবী সিং, যোগরাজ, কারামচাঁদ ও মান বাহাদুর, আমরা ইতিহাস হয়ে গেলাম। তৎক্ষণাৎ নীচে এবিসি অভিযাত্রীদের সঙ্গে ওয়ারলেসে কথা বললাম। সবাই অধির আগ্রহে অপেক্ষাই ছিলো। পরিষ্কার শুনতে পেলাম তাদের উল্লাস!

অনামা শৃঙ্গের ওপর থেকে চারিদিকের ছবি নিলাম। প্রচণ্ড কন্‌কনে ঠাণ্ডা বাতাসের দাপট!  

শিখরে প্রায় ৪০ মিনিট থাকার পর নামার পালা। শৃঙ্গের অপর দিক দিয়ে অর্থাৎ উল্টোদিকের রিজ দিয়ে নামবো বলে ঠিক করলাম।  আমরা জানি না সেই পথের অবস্থা কি রকম। অনুমানের উপর ভিত্তে করে ফিরে চললাম। 

রোপআপ করে মন্থর গতিতে ধীর পদক্ষেপে নামছি। সূর্যের প্রখরতা কমে আসছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। হাল্কা গোলাপি রঙিন আভায় আমাদের মুখমণ্ডল আবিরে মাখামাখি। ইতোমধ্যে ওয়ারলেসে নিচের ক্যাম্পে খবর চলে গেছে। আমরা খুব সাবধানে রোপ-আপ করে দু’টি দলে নামতে থাকলাম। পুরো পথ বোল্ডারে ভর্তি।  একটু অসাবধানেই পা হড়কে যাওয়ার শঙ্কা। অতি ধীর পদক্ষেপে নামতে থাকি।  সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় সবাই সুস্থ শরীরে বেস ক্যাম্পে ফিরে এলাম। এখানে ভোজের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।

লেখক: সদস্য, বাংলাদেশ ট্রাভেলস রাইটার্স এসোসিয়েশন (কলকাতা)

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046160221099854