লক্ষ্মীপুরে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এজাজ রায়হানকে (১৩) লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ছায়েদুর রহমান।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার তানযীমুল মিল্লাত একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রায়হানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনায় রায়হানের ফুফা ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুল হক মাহবুব সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ প্রেক্ষিতে বিকেলেই পুলিশ পাঠিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।
অন্যদিকে পাঠদানের অনুমতি না থাকা শর্তেও কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় মাদারাসা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আহত ছাত্র রায়হান সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী আরিফ হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত ছায়েদ একই মাদরাসার শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ দিন জ্বরে আক্রান্ত ছিল রায়হান। সুস্থ হলে বুধবার সে মাদরাসায় আসে। মাদরাসায় না আসার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষক ছায়েদকে জ্বরের কথা জানায়। কিন্তু শিক্ষক তা কর্ণপাত করেননি। শাস্তি হিসেবে কুমড়া চেঙ্গি দিতে বলে। এটা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই শিক্ষক লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এতে তার হাত-পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মাদরাসায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুল হক মাহবুব বলেন, রায়হানকে নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করিয়েছেন। পরে ওই শিক্ষককে থানা হেফাজতে রাখা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল আহত ছাত্রের অভিভাবকদের জানিয়েছেন, শিক্ষককে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ওই মাদরাসায় পাঠদানের কোনো অনুমতি নেই। তা শর্তেও তারা পাঠ্য কার্যক্রম চালাচ্ছে। এজন্য মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।