ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালে আয়োজিত সমাবেশে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুরে নগরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলসংলগ্ন মহানগর ও জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং ছাত্রদলের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে মহানগরের কয়েকটি ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে সমাবেশের সামনে অবস্থান নিতে চাইলে অন্যরা তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, সমাবেশের সামনে অবস্থান করা নিয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। তাৎক্ষণিকভাবে তা স্বাভাবিক করা হয়েছে। পরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান, সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
বিএনপির নেতারা বলেন, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। এখন সেটা বুঝতে পেরে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে দমনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ দিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু এসব করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। আন্দোলন দমন করতে দলের নেতাদের জেলে রেখে বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার অসৎ উদ্দেশে এসব করছে সরকার। কিন্তু বিএনপির একজন নেতাও বাইরে থাকলে সরকার পতনের আন্দোলন চলবে। এটা জনগণের আন্দোলন, তাই জনগণই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে। এ জন্য ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকতে হবে।