ছাত্ররা অন্য স্কুলে ভর্তি হওয়ায় নিজেকে শেষ করে দিলেন শিক্ষক

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ছাত্ররা লাইন দিয়ে ভর্তি হচ্ছে অন্য স্কুলে। সেই অপমানে বিষপান করে নিজেকে শেষ করে দিলেন এক শিক্ষক।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের একটি জেলা পরিষদ স্কুলে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ওই শিক্ষক অত্যন্ত ছাত্রবৎসল বলেই পরিচিতি ছিলেন এলাকায়। 

পুনে জেলার দাউন্দ তহসিলের হোলে বস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডেপুটি টিচার অরবিন্দ দেবকর। অভিযোগ, ক’দিন আগে তিনি স্কুলের পড়ুয়াদের বলেছিলেন, সবাই মিলে স্কুল চত্বর পরিষ্কার করবেন। কিন্তু নিজের স্কুল নিজে সাফ করায় আপত্তি ছিল ছাত্রদের। তারা বাড়িতে এ ব্যাপারে নালিশ জানায়। রেগে যান ছাত্রদের অভিভাবকেরাও। কেন শিক্ষক স্কুল পরিষ্কার করার কথা বলেছেন, এই অভিযোগ তুলে তারা সন্তানদের ওই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি করানো শুরু করেন। ১০ পড়ুয়ার মধ্যে ন’জনই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়ে যায়। যা দেখে হতবাক হয়ে যান অরবিন্দ। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। তার পরেই চরম সিদ্ধান্ত নেন।

জানা গিয়েছে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়া অরবিন্দ স্কুলের মধ্যেই বিষপান করেন। তাকে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়। উদ্ধার করা হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানে অরবিন্দ লিখে গিয়েছেন, ছাত্রদের এবং তাদের মা-বাবার মন জিততে না পারার ব্যর্থতা তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছেন। এই কারণেই নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন তিনি।

গত ১৯ বছর ধরে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করছেন অরবিন্দ। মাত্র দু’মাস আগে তিনি বদলি হয়ে আসেন হোলে বস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অতীতে আদর্শ শিক্ষকের পুরস্কারও পেয়েছেন অরবিন্দ। এ হেন শিক্ষকই পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে ভর্তি হওয়ায় কষ্ট পেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047430992126465