কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। নানা নাটকীয়তা শেষে ঘটনার চারদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মামলাটি নথিভুক্ত করে পুলিশ। মামলায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিলন ও তার চাচাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ফুলবাড়ী থানার ওসি ফজলুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে মামলা নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (৮ মে) রাতে উপজেলার তিনকোণা মোড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান গ্রুপ। এতে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিলন প্রত্যক্ষ মদদ দেন বলে অভিযোগ তুলেছে ছাত্রলীগ। সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছিলেন। সংঘর্ষের পর উপজেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে মেহেদী গ্রুপ হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ আছে। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, ঘটনার পর ওই রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বাদি হয়ে ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। তবে মামলা নথিভুক্ত করতে পুলিশ টালবাহানা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নেতারা। নানা নাটকীয়তা শেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টা ৫ মিনিটে মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তৌকির হাসান তমাল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের ওপর হামলা হয়েছে। ঘটনার রাতেই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মিলনের সঙ্গে থানা পুলিশের সখ্যতার কারণে মামলা নিতে গড়িমসি করেছে। নানা নাটকীয়তা শেষে আবারও এজাহার সংশোধন করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা রেকর্ড করেছে। তবে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ফুলবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মামলা হয়েছে। তবে, এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।