ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগ নেত্রী কর্তৃক নির্যাতনের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটির ডাকে রোববার সকালে আবারও ক্যাম্পাসে আসার কথা রয়েছে ভুক্তভোগী ছাত্রীর। শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান অনীক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হলে ক্যাম্পাসে আসবেন না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী বলেন, ‘তারা আমাকে জানিয়েছে। তবে, প্রশাসন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে আমি যেতে পারি। না হলে যাওয়া সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান অনীক বলেন, ‘আগামীকাল (রোববার) আমাদের তদন্ত কার্যক্রমের শেষ দিন। এ জন্য তদন্তের স্বার্থে আগামীকাল সকালে ফুলপরীকে ডাকা হয়েছে। আমরা তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। ওই মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝামেলা হবে না।’
রোববার ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলেও জানান অনীক।
জানা যায়, নির্যাতনের ঘটনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান অনীক। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– সহসভাপতি বনি আমিন, রাকিবুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক নবাগত ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। র্যাগিংয়ের সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাকে মারধর করে এবং তার আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে রাখে বলে অভিযোগ তার। ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
পরে, র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দফতর বরাবর লিখিত দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ র্যাগিংয়ের মতো ঘৃণ্য কাজকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে র্যাগিং নামক শব্দটি সমূলে উৎপাটনের জন্য কাজ করে, এ কথা জানিয়ে সংগঠন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার তদন্ত কার্যক্রম রোববার শেষ হবে বলে জানা যায়।