বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলা, মোবাইল ফোন চুরি ও ভাঙচুরের অভিযোগে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় মামলা হয়েছে।
বুধবার সরকার পতনের আন্দোলনে আহত উপজেলার উত্তর তিলাই গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষার্থী রিয়াদের বাবা ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামী লীগের ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২২০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
ভুরুঙ্গামারী থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম বলেন, মামলার পরদিন বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলী মুকুল (৫৫), আব্দুর রহিম (৬০), ছাত্রলীগের কর্মী আশরাফুল (৩০) ও শাহীন আলম (২৭)।
মামলায় শোভনের বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটন, আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান আসাদ, মাইনুল ইসলাম লিটন, জাতীয় পার্টির নেতা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেনকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৪ অগাস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আসার সময় দুই দফায় হামলায় শিক্ষার্থী রিয়াদসহ কয়েকজন আহত হন। এ সময় তাদের পাঁচটি মোবাইল ফোন চুরি এবং মিছিলের মাইক ভাঙচুর করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আনোয়ার হোসেন বলেন, “আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আহত হওয়ার কারণে অভিভাবক হিসেবে তিনি মামলা করেছেন।”
যেদিন এই মামলাটি হয় সেদিন রাতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়।