ছাত্রলীগ করার কারণে নাঈম আকন নামের এক কলেজছাত্রকে হাতুড়ি পেটা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ছাত্রকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলারং গ্রামের মাছুম বয়াতির ছেলে নাঈম স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগ করে আসছে। বর্তমানে নাঈম তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ছাত্রলীগে যোগদানের শুরু থেকেই নাঈমকে একই গ্রামের তালতলী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ সিকদারের বখাটে ছেলে আরাফাত সিকদার ছাত্রলীগ করতে নিষেধ করে ছাত্রদলে যোগদারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। কিন্তু এতে রাজি হয়নি নাঈম। ছাত্রলীগ ছেড়ে ছাত্রদল না করার অপরাধে নাঈমের উপর ক্ষিপ্ত হয় আরাফাত ও তার সহযোগীরা। এ বছর ১০ জুন নাঈম ছাত্রলীগ ত্যাগ না করায় আরাফাত সিকদার, বায়েজিদ সিকদার ও তার বাবা শহীদ শিকদার মারধর করে। কিন্তু এতে খ্যান্ত হয়নি আরাফাত। রোববার বেলা ১১ টায় নাঈম ও তার দাদা ছত্তার বয়াতি কচুপাত্রা বাজার করে বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কচুপাত্রা ব্রীজ সংলগ্ন বাঁধের ওপরে আরাফাত সিকদার, বেলালসহ ৭-৮ জন সহযোগী নাঈমকে দু’পাশ দিয়ে আটক করে। পরে তারা নাঈমকে হাতুড়ি দিয়ে বেধরক মারধর করে। নাঈমের বৃদ্ধ দাদা ছত্তার বয়াতি প্রতিহতের চেষ্টা করলে তাকেও বখাটেরা মারধর করেছে। দাদা ও নাতির ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা নাঈমকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজড়া বলেন, নাঈমের পিঠ, বাহুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা নাঈম বলেন, অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছি। বর্তমানে পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগ সদস্য। ছাত্রলীগে যোগদানের পর থেকেই আরাফাত আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমাকে ছাত্রলীগ ছেড়ে ছাত্রদলে যোগদান করতে হবে। আমি আরাফাত সিকদারের কথা মত ছাত্রলীগ ছেড়ে ছাত্রদলে যোগ না করার কারণে আমাকে দুই দফায় মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
পঁচাকোলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আজাদ হাওলাদার বলেন, নাঈম সক্রিয় ছাত্রলীগ সদস্য। নাঈম ছাত্রলীগ করার কারণে আরাফাত নামের একজন ছাত্রদল ক্যাডার মারধর করেছে।
এ বিষয়ে আরাফাতের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার বাবা শহীদ সিকদার মুঠোফোনে বলেন এই বিষয়টি আমার জানা নেই।
তালতলী থানার ওসি মো. শেখ শাহানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।