সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসমাউল হুসাইনের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছেন দলিল লেখকরা । রোববার (২৬ মে) উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে চাঁদাবাজির এ ঘটনা ঘটে। আসমাউলকে গ্রেফতার না করা হলে সোমবার মানববন্ধন করবে দলিল লেখকরা। আজ ১১০ টি দলিল লেখা হলেও কোনোটিই রেজিস্ট্রি হয়নি। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
দলিল লেখক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজিবর রহমান ও সম্পাদক বদরুজ্জামান জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হুসাইন আজ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে এসে তোলপাড় শুরু করেন। তিনি সাব রেজিস্ট্রারের কাছে চাঁদা দাবি করেন। তিনি বলেন, চাঁদা না দিলে এই অফিসে বসতে দেয়া হবে না। তিনি তাকে অপমানসূচক ভাষায় শাসিয়ে বলেন তুই এ কয়দিন অফিসে আসিস নাই কেনো।
দলিল লেখক সমিতির কোষাধ্যক্ষ বলেন, তার কাছেও আসমাউল হুসাইন ৩০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছেন।
চাঁদাবাজি সম্পর্কে জানতে ফোন করা হলে আসমাউল হুসাইন বলেন, আমি চাঁদা চাইনি। এই অফিসে প্রতিদিন দুটি করে জাল দলিল হয়। বয়স ২৫ বছর হলেও এনআইডি ছাড়াই জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি হয়। এছাড়া ৬ ভাই বোনের দুই জন এভাবে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়।
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে আমি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলাম। আমার সাথে ছিলেন সংগঠনের সদস্য জয়নাল আবেদিন। আমি কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি।
এ ব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রার পার্থ প্রতিম মুখার্জীর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তাকে ফোন করা হলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।
আশাশুনির থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ আমার কাছে এখনও আসেনি।