লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাসেল আহম্মেদ ওরফে হিন্দি রাসেলকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক কোচিং পরিচালক রাসেল আহম্মেদ ওরফে হিন্দি রাসেল উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের আতোয়ার আলীর ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, নিজ বাড়িতে কোচিং চালু করেন রাসেল আহম্মেদ। সেখানে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মত নিয়মিত পড়তে যায় মহিষখোচা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৫)। পড়ানোর ফাঁকে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন রাসেল। একই সঙ্গে প্রায় দিন তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি জানতে পেয়ে ওই ছাত্রীকে কোচিংয়ে পাঠানো বন্ধ করেন তার পরিবার।
গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে সবার মতো ঘুমিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। মাঝ রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেন রাসেল। মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রাতেই ওই ছাত্রীকে হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে নিজে এসে কোচিং চালু রাখেন রাসেল।
পরদিন সকালে ওই ছাত্রীকে না পেয়ে বাড়ির লোকজন কোচিং পরিচালক রাসেলের বাড়িতে খোঁজ নিলে সেখানে তার সন্ধান মেলেনি। অবশেষে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাসেলের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বড় ভাই।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে প্রথমে রাসেলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের সহায়তায় দৈখাওয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, সন্দেহ এড়াতে অপহৃত ছাত্রীকে রাতেই দৈখাওয়া এলাকার এক আত্মীয় বাড়িতে রেখে নিজে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন অপহরণকারী রাসেল। তাকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আটক রাসেলকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।