ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় চাকরি হারালেন শিক্ষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি |

কুষ্টিয়ার খোকসার সেনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির তিন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে বরখাস্ত শিক্ষক নজরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) মানববন্ধন করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রধান শিক্ষক। 

জানা গেছে, উপজেলার সেনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম ওরফে দুখু অষ্টম শ্রেণির একাধিক ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনসহ নানা প্রকার কু-প্রস্তাব দেন। বৃহস্পতিবার সকালে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ডেকে নিয়ে ছাত্রীর বোরকার নেকাব খুলতে বাধ্য করেন।

এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে শ্নীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে এ ঘটনা সহপাঠী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বলে দেয় ওই ছাত্রী। শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে জমায়েত হয়। তাৎক্ষণিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। পরে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ওই শিক্ষককে মৌখিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ।

তবে এ শাস্তি সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে শনিবার দুপুরে শিক্ষক নজরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বিকেলে দুই ছাত্রীর বাবা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। 

এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছাত্র-অভিভাবকরা শিক্ষক নজরুল ইসলামের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। বিকেলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জরুরি সভা ডেকে শিক্ষক নজরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়। একই সঙ্গে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল মহম্মদ জানান, শিক্ষক নজরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে স্কুলের পক্ষ থেকে এবং অভিভাবকদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002579927444458