পটুয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার জের ধরে জেলা শহরে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগে ১ কলেজশিক্ষক, ২১ শিক্ষার্থীসহ ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলাকে হয়রানিমূলক দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাতটার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন হাওলাদার এবং গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান একই বিষয়ে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।
এতে লিখিত বক্তব্যে নেতারা বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলেন। পথে কয়েকজন তরুণ ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে ওই ছাত্রীর তিনজন সহপাঠীকে মারধর করা হয়। এ খবর কলেজের ছাত্রাবাসে পৌঁছালে ছাত্ররা ওই এলাকায় গিয়ে উত্ত্যক্তকরণ ও সহপাঠীদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য উত্ত্যক্তকারী তরুণ ও তার বাবা নিজেদের বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের টিনের বেড়া ভাঙচুর করে শিক্ষকসহ ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কথা বলতে চাননি। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ওই ছাত্রীর পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে ভাঙচুরের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করা হয়। মামলার আরজিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়ি ও বসতঘর, সীমানার বেড়ার টিন, দরজা-জানালা পিটিয়ে ও কুপিয়ে ভাঙচুর করে নগদ টাকাসহ ১ লাখ ৬১ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম আহত হন।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি এস এম তারিকুল ইসলাম বলেন, আদালত ভাঙচুরের মামলা তদন্ত করে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।