রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট-ওয়েস্টের শিক্ষার্থী অর্পনা আক্তার ইতিকে (১৯) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- মো. ইমরান হোসেন ওরফে ঝাওয়ালী ওরফে জালালী (২৩) ও মো. শাহজাহান (২৮)।
রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন আনন্দনগর এলাকা থেকে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, একটি রক্তমাখা শার্ট ও আহত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ. আহাদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত রোববার (২ এপ্রিল) দিনগত রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর আফতাবনগরের বি ব্লকে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুজন ছিনতাইকারী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাই মোহাম্মদ আল আমিন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সেটি দস্যুতা মামলা হিসেবে রুজু হয়। মামলা নম্বর-৫।
মামলা দায়েরের পরই বাড্ডা থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার রহস্য উন্মোচন, আসামিদের গ্রেফতার ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন উদ্ধারে কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল পদ্ধতির সমন্বয়ে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করা হলেও ছিনতাইকারীরা অত্যন্ত চতুর হওয়ায় বারবার স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনের চেষ্টা করে।
গুলশান বিভাগের ডিসি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ছিনতাইকারীদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার তয়াছির জাহান বাবুর নেতৃত্বে বাড্ডা থানা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে টানা ৪০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ছিনতাইকারীরা।
ডিসি আহাদ বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গ্রেফতার ইমরানের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় সাতটি ও শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।