ছাত্রীকে ধ*র্ষণচেষ্টা: ১০তম দিনের মতো আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, চবি |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আজ ১০তম দিনের মতো আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্তকে স্থায়ী বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

 

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে 'এই ক্যাম্পাসের আঙিনায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই', 'আমার বোনের সম্মানহানি মানিনা মানবো না', 'দুই একটা মতিন ধর ধরে ধরে জেলে ভর', ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। 

এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে।  কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জরিন আখতার। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। এজন্য শিক্ষার্থীরা স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশ্বাস দিলেও মাঠে থেকেই বিচার নিশ্চিত করতে চাই তারা।

এমন জঘন্য অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে বিচার চায় শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের বিষয়ে রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার প্রিন্স বলেন, আমরা ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য আজ ১০ম দিনের মতো আন্দোলন করছি। আমাদের বোনকে ধর্ষণচেষ্টার মতো জঘন্য ব্যক্তিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে যাতে এরকম নিকৃষ্ট কাজ কেউ করার চিন্তাও না মাথায় না আনে। প্রশাসন থেকে প্রতিবেদন জমা দিতে গড়িমসি করছে। আজকের মধ্যে যদি তদন্ত প্রতিবেদন না দেয় তাহলে আমাদের আন্দোলন আরো কঠোর হবে।

আন্দোলনরত ভুক্তভোগীর এক সহপাঠী জান্নাত নুর বলেন, আমরা এতোদিন আন্দোলন করছি তবে আমরা আজও তদন্ত প্রতিবেদন পায়নি। আমরা মতিনের স্থায়ী বহিষ্কার চাই। আমাদের দুটি দাবি, আমরা 'অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চাই, বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে তার নামে মামলা করতে হবে'। চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া অবধি আমরা ক্লাস বর্জন করবো। 

এ বিষয়ে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার জানিয়েছিলেন , তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় দিনরাত কাজ করছে। তদন্ত কমিটি প্রতিনিয়ত বৈঠক করে যাচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। আজ বা কালকের বা মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ - dainik shiksha সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ কারিগরির এসএসসি ও দাখিলের রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়লো - dainik shiksha কারিগরির এসএসসি ও দাখিলের রেজিস্ট্রেশনের সময় ফের বাড়লো প্রাথমিকের ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা - dainik shiksha প্রাথমিকের ডিজির অপসারণ ছাড়া কাজে ফিরবেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘তুমি কে আমি কে? আদুভাই আদুভাই’ স্লোগান শেকৃবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ‘তুমি কে আমি কে? আদুভাই আদুভাই’ স্লোগান শেকৃবি শিক্ষার্থীদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে একগুচ্ছ প্রস্তাব - dainik shiksha মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে একগুচ্ছ প্রস্তাব ঢাবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ - dainik shiksha ঢাবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043749809265137