ছাত্রীতে ধর্ষণ-গর্ভপাত, মাদরাসা পরিচালক গ্রেফতার

গাজীপুর প্রতিনিধি |

গাজীপুরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে এক মাদরাসার পরিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলার শ্রীপুর উপ-জেলার ছাতির বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদরাসা পরিচালকের নাম এমদাদুল হক (২৮)। তিনি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার মোজাখালী গ্রামের আ. ছিদ্দিকের ছেলে। সে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ছাতিরবাজার এলাকার দারুল কোরআন মাদরাসার পরিচালক।

ছাত্রীর স্বজন, পুলিশ ও থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শ্রীপুরে ভাড়া থেকে ওই ছাত্রীর মা স্থানীয় এক পোশাক কারখানায় এবং বাবা এলাকায় ফেরি করে মালামাল বিক্রি করে সংসার চালান। চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুদের সঙ্গে মেশার সুযোগ করতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ওই ছাত্রীকে গত ঈদুল ফিতরের পর স্থানীয় দারুল উলুম মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করেন। সেখানে ভিকটিম অন্য শিশুদের সঙ্গে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থাকতো। গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় মাদরাসার শিক্ষিকা মোবাইলে ফোন করে ওই ছাত্রী অসুস্থ থাকার কথা জানান। ফোন পাওয়ার পরপরই রাত ৮টার দিকে মাদরাসায় গেলে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরদিন ২২ আগস্ট তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করা হয়। সেখান অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা ছিল, কিশোরীকে ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত করা হয়েছে। সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা শেষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়া হয়।

ভিকটিমের বাবা জানান, তার মেয়ে কথা বলতে পারেন না। কি করে তার এমন হলো জানতে চাইলে ভিকটিম ঈশারায় অভিযুক্ত এমদাদকে শনাক্ত করে এবং তাকে ধর্ষণ করেছে বলে দেখান। এ বিষয়ে তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. শফিকুল ইসলামের কাছে বিচার দাবি করেন। ইউপি সদস্য শফিকুল বিষয়টি সমাধানে না গিয়ে ভিকটিমের পরিবাকে তিনি থানায় অভিযোগ করতে বলেন। গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভিকটিমের বাবা শ্রীপুর থানায় এমদাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। 

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভিকটিমের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026278495788574