ফরিদপুরের ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের তিন বছর পর এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া এসময় ওই যুবককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যাক্তির নাম মো. হারুন শেখ (৩৩)। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) স্বপন কুমার পাল জানান, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় এ রায় দেয়া হয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী অর্থদণ্ডের এক লাখ টাকা শিশু ছাত্রীকে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমবে এবং দেশে আইনের শাসনের পথ সুগম হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গার পাচুড়িয়া গ্রামের একটি বাড়ি সংলগ্ন টয়লেটের পাশে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে চড়-থাপ্পর মেরে ও ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে হারুণ নামের ওই যুবক। পরে ধর্ষণের এই দৃশ্য তিনি মুঠোফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
এঘটনায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ নভেম্বর ওই শিশুর মা বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণগ্রাফির অভিযোগে মো. হারুন শেখকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম। পরে একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জুন আদালতে হারুনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।