ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, মুক্তি পেলেন শিক্ষিকা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

১৬ বছর বয়সী একটি ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথা স্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি হাইস্কুলের শিক্ষিকা মনিক ওমস (৩১)। তার জেল নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে কান্নাকাটি করে সেই শাস্তি লঘু করেছেন। ফলে তিনি মঙ্গলবার মুক্তি পেয়েছেন। এ খবর দিয়ে অনলাইন নিউ ইয়র্ক পোস্ট বলেছে, মেলবোর্নে কোর্ট অব আপিলসে মঙ্গলবার এ মামলার শুনানি হয়। এদিন সেখানে অপরাধের কথা স্বীকার করেন ওই শিক্ষিকা। তাকে শাস্তি হিসেবে ৩০০ ঘন্টা কমিউনিটি সার্ভিসে কাজ করতে বলা হয়। কিন্তু আদালতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বিচারকের সামনে। ফলে বিচারক তাকে মুক্তি দিয়ে দেন।  রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে বালককে তিনি যৌনসঙ্গী করেছেন সে ছিল তার অধীনে কেয়ার বা সুপারভিশনে।

মার্চে আদালত তাকে কঠিন জেলের বিধান দেয়।

স্যেল সেকেন্ডারি কলেজের এই শিক্ষিকাকে এর আগে কঠোর জেল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্চে সেই রায়ের বিষয়ে আপিল করে ভিক্টোরিয়ার অফিস অব পাবলিক প্রসিকিউশন্স। বিচারক রিচার্ড নিয়াল, মারি কেনেডি এবং ক্যামেরন ম্যাকাউলে আপিল প্রত্যাখ্যান করেন। তারা বলেন, ওই শিক্ষিকা মানসিকভাবে অসুস্থ। তাকে জেলে পাঠালে মারাত্মক এক বিপর্যয় ঘটিয়ে দিতে পারে। শিক্ষিকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন যে, তার মক্কেল ওমস বন্ধ্যা ছিলেন। তার বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছিল না। এ জন্য তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। তাই ওই বালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। কিন্তু জুলাইয়ে তাকে শাস্তি দেয়ার সময় দেখা যায় তিনি অন্তঃসত্ত্বা। একই সঙ্গে ওই ছাত্রের সঙ্গে তার গোপন সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর কথিত হয়রানির ফলে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

গত বছর ওই কলেজে যোগ দেন শিক্ষিকা ওমস। তারপর থেকেই ১৬ বছর বয়সী ওই বালককে তিনি ম্যাসেজ পাঠানো শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি তার ছাত্রের কাছে নিজের অন্তর্বাস পরা ছবি পাঠাতে থাকেন। যাকে তার এই ছাত্র তার শরীরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরপর তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাইয়ে প্রথমবার তারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন। এখান থেকেই শুরু। এরপর ওই শিক্ষিকার বাড়িতে অনেকবার তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তার গাড়িতেও একই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে প্রথমে রায় দেন বিচারক জন স্মলউড।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষিকা এবং একজন ছাত্রের মধ্যকার এই সম্পর্ক অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আপিল প্যানেলও একই রায় বহাল রাখেন। তারা বলেন, অপরাধটা খুবই গুরুত্বর। তবে শেষ পর্যন্ত ওমস আদালত থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ! - dainik shiksha দুই শব্দে অধ্যক্ষের পদত্যাগ! বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে পাকিস্তান - dainik shiksha বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে পাকিস্তান বিএনপি নির্বাচিত হলে গুম প্রতিরোধে আইন করব: তারেক - dainik shiksha বিএনপি নির্বাচিত হলে গুম প্রতিরোধে আইন করব: তারেক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসহাক আলীর মৃত্যু শ্বাসরোধে: মেঘালয় পুলিশ - dainik shiksha ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইসহাক আলীর মৃত্যু শ্বাসরোধে: মেঘালয় পুলিশ ঢাবিতে যোগ দিলেন চাকরিচ্যুত অধ্যাপক ড. সাইফুল - dainik shiksha ঢাবিতে যোগ দিলেন চাকরিচ্যুত অধ্যাপক ড. সাইফুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002863883972168