পিরোজপুরে মাদরাসা ছাত্র তানভীর আহসান সাকিব (১৭) হত্যার ঘটনার ছয় বছর পর অভিযুক্ত চারজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার আসামিদের উপস্থিতিতে পিরোজপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।
নিহত ছাত্র তানভীর আহসান সাকিব জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে। তিনি পিরোজপুর ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৬ মে হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনার পর দিন সে বছরে ৭ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার একপাই জুজখোলা গ্রামের দুলাল মোল্লা (৩৮), একই উপজেলার কদমতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৪২), সাঈদুল ইসলাম (৩৯) ও মো. বেল্লাল শেখ (৩১)। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আনিস শেখ ও কদমতলা গ্রামের হাফিজুল শেখকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী ও পিপি এ্যাডভোকেট ফারুক সরদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তানভীর আহসান পিরোজপুর ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৬ মে রাতে তানভীর বন্ধুদের নিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেলে উপজেলার পোরগোলা এলাকায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কাজে যায়। রাত ৯টার দিকে তানভীর দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফেরার পথে একপাই জুজখোলা গ্রামের ধোপাবাড়ির সেতুতে হামলার শিকার হন। এ সময় সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয় ও তার বন্ধুরা তানভীরকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওই রাতে খুলনা থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়। খুলনা থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তানভীরের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে খুলনায় ফিরিয়ে আনা হয়। ৭ মে ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। ঘটনার এক দিন পর ৮ মে নিহত সাবিকের মা দেলোয়ারা বেগম বাদি হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।