স্নাতক ডিগ্রীসহ ছয় মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিবন্ধন সনদধারীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) হিসেবে নিয়োগে আইনগত কোনও বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৭ শে জুলাই) দুইটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া এখবর দৈনিকশিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে ছয়মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়োগে আইনগত বাধা দূর হলো। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ফল প্রকাশের বাঁধাও দূর হলো।
অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ বলেন. বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কম্পিউটার শিক্ষক পদে তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স ও স্নাতক ডিগ্রীসহ ছয় মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিবন্ধন সনদধারীদের কম্পিউটার শিক্ষক পদে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। একই দিনে ওই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে বলা হয়- স্নাতক ডিগ্রীসহ ছয় মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিবন্ধন সনদধারীরা শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে আবেদনের সুযোগ পাবে না।
অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ বলেন, বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ কাজী মো. সাইফুদ্দিনসহ ১৮ জন আবেদনকারী হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট হাইকোর্ট সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করে এবং স্নাতক ডিগ্রীসহ ছয় মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিবন্ধন সনদধারীদের শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে আবেদনের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেয়। সে আলোকে এনটিআরসিএ ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্নাতক ডিগ্রীসহ ছয় মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিবন্ধন সনদধারীদের শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে আবেদনের সুযোগ দেয়।
অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ বলেন, এদিকে রিটের রুল নিষ্পত্তি না হওয়ায় এনটিআরসিএ সারাদেশে কম্পিউটার শিক্ষক পদে ফলাফল প্রকাশ বন্ধ রাখে। কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত রিটের ওপর দেয়া রুলের ওপর ইতোমধ্যে হাইকোর্টের এ বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।