জঙ্গিবাদ থেকে বেরিয়ে আসো, ফারুকের কাছে প্রথম স্ত্রীর আকুতি

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

একটু একটু করে কীভাবে একজন আইনজীবী জঙ্গিবাদের ভয়াল জগতে ঢুকে গেছেন, এর বড় উদাহরণ সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক তালুকদার। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া মেধাবী এই ছাত্রের পরিবর্তন চোখের সামনে দেখেছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী মারজিয়া মলি।

স্বামীকে আলোর পথে ফেরানোর তাঁর যে প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল, সে চিত্র উঠে আসে ফারুকের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদনে। স্বামীর ফোনে বেশ কিছু এসএমএস পাঠান তিনি। মোবাইল ফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদন এরই মধ্যে আলামত হিসেবে আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। গত ৮ অক্টোবর একটি মেসেজে স্বামীকে মলি লিখেছেন, 'আমি জঙ্গি হইনি বলে জঙ্গিকে বিয়ে করে আমার ওপর প্রতিশোধ নিলা।' আরেকটি এসএমএসে লেখেন, 'তুমি তো আমাকে জঙ্গি হতে চাপ দিচ্ছ।'

একই দিনে পাঠানো আরেকটি মেসেজে তিনি লেখেন, 'ভয়ংকর জঙ্গিদের সঙ্গে মিশে জঙ্গিরা তোমাকে জঙ্গি নারী বিয়ে করিয়ে দিয়েছে।' 'প্লিজ ফারুক, তুমি জঙ্গিবাদের পথ থেকে বেরিয়ে আসো।' এর আগে ৩০ জুলাই পাঠানো বার্তায় লেখেন, 'তুমি জেলখানা থেকে পরামর্শ পেয়ে ঘর ছেড়েছ।' 'জঙ্গি না হওয়াটা আমার অপরাধ হয়ে গেছে। তুমি জঙ্গি বিয়ে করেছ।' 'জঙ্গিরা তোমাকে ঘরছাড়া করাইছে। এবার বোমা হামলা করাবে।' 'এখনও সময় আছে, ভালো হয়ে যাও। ওই নারীকে ডিভোর্স দিয়ে সংসারে ফিরে আসো।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওমর ফারুকের স্ত্রী মারজিয়া মলি বলেন, 'আমাকে না জানিয়ে বিয়েটা করেছিল ফারুক। গত ২৫ এপ্রিল বিয়ে হয়, ওই দিনই জানতে পারি। পরে শুনেছি, যে মেয়েটিকে বিয়ে করেছে, সেও জঙ্গি। স্ত্রী হিসেবে এই বিয়ে মেনে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।'

মলি আরও বলেন, জঙ্গি সোহেলই হয়তো আমার স্বামীকে ফাঁদে ফেলেছে। এখনও বিশ্বাস করি, সঠিক পথে ফারুক ফিরে আসবে।
সর্বশেষ দুই মাস ধরে সে আমার সংসার চালানোর খরচ ঠিকঠাক দিচ্ছে না। এর আগে নিয়মিত দিত। এসব পরিস্থিতি নিয়ে আমি দুই সন্তানসহ আতঙ্কিত।

স্বামীর বাহ্যিক পরিবর্তনের ব্যাপারে তাঁর ভাষ্য, এপিএস থাকাকালে ২০১২ সালের ওই ঘটনার পর থেকেই ধর্মকর্মে আমরা মনোযোগী হই। এর পর ২০১৭ সালে ফারুক কয়েক মাস জেলে ছিল। জেল থেকে বের হওয়ার পর বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করিনি। তবে চলতি বছর বিয়ের পর একটু বদলে গেছে। একজন স্বামীর দুর্বল জায়গা হলো, তাঁর সন্তান ও স্ত্রী। কেউ যদি এটা কেড়ে নেয়, কীভাবে সামলাব? আত্মীয়স্বজন অনেকে ভুল বুঝতে চান। ওমর ফারুকের ফেসবুকেও তাঁর যেসব দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে তাতে স্পষ্ট, তিনি জঙ্গিবাদে ভিড়েছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026428699493408