জবিতে আবাসনসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস, নেই পরীক্ষাগার

জবি প্রতিনিধি |

ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ কলেজ থেকে আপগ্রেডেড হয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের পর ১৫ বছর পার হলেও এখানে বিরাজমান মৌলিক সমস্যাবলির আজও স্থায়ী কোন সমাধান দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

পাবলিক বিশ্ববদ্যিালয়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্যতিক্রমী বিশ্ববিদ্যালয়। এর আয়তন, আবাসন এমনকি একাডেমিক সিস্টেমের দিক থেকেও দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এটি ব্যতিক্রমী। প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীতে ভরপুর রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাটের ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে অবস্থিত একটি স্বায়ত্তশাসিত পূর্ণাঙ্গ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের প্রাক্তন জগন্নাথ কলেজ ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও এখানে আক্ষরিক অর্থে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ বলা যায় এমন কোন বাহ্যিক অবস্থা প্রকাশ পায়নি এই বিদ্যাপীঠে।

দেশের একমাত্র অনাবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ। আবাসিক হলের বিভিন্ন আশা দেয়া থাকলেও এখনও হল পায়নি শিক্ষার্থীরা। ছাত্রী হলের কাজ ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হলেও তা শেষ কবে হবে তা সঠিকরূপে বলা কিছুটা অসম্ভব। কেরানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি ছাত্রাবাস করার পরিকল্পনা থাকলেও তার কাজ এখনও শুরু হয়নি। নানা আশ্বাসে প্রতিবারই শিক্ষার্থীরা শান্ত হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বললেই চলে। প্রতিষ্ঠার পনেরো বছর হয়ে গেলেও এর উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা রেজিস্ট্রারেরও আবাসিক ব্যবস্থা করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

২৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি মাত্র ক্যান্টিন। তাতেও উচ্চ দামে খাবার কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তনেও রয়েছে বিশাল তারতম্য। মাত্র সাড়ে ৭ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এই অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়- যা অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একেবারেই ভিন্ন। দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এর প্রবেশপথে এখনও রয়েছে সেই কলেজ আমলেরই ফটক। 

সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের পাশে নতুন একটি ফটক নির্মাণের আশ্বাস দিলেও সেই উদ্যোগ থেকে অজানা কারণে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক রুমের মেডিক্যাল সেন্টার ও একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা। শুধু ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ডাক্তার। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকার অনিয়মই যেনো নিয়ম! - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকার অনিয়মই যেনো নিয়ম! সনদ জালিয়াতিতে শনাক্ত আরো কয়েকজন নজরদারিতে - dainik shiksha সনদ জালিয়াতিতে শনাক্ত আরো কয়েকজন নজরদারিতে শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল আকাশে মেঘ দেখলেই স্কুল ছুটি - dainik shiksha আকাশে মেঘ দেখলেই স্কুল ছুটি প্রশ্নফাঁসে শিক্ষক চাই না - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসে শিক্ষক চাই না please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038738250732422