জবিতে ছাত্রীকে যৌ*ন হয়রানি, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী কারাগারে

জবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মেহেদী হাসান সৈকত নামের এক ছাত্রকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গতকাল বৃহস্পাতিবার এ শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ছোট পর্দায় অভিনয় করেন। গ্রেপ্তার মেহেদী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

আজ মেহেদীকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলার অভিযোগ সম্পর্কেভুক্তভোগী বলেন, ‘আসামি সৈকত ২০১৯-২০ সেশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একদিন ক্যাম্পাসে আমার সামনে এসে নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। আমি তার কথার উত্তর না দিয়ে নিজের ক্লাসে চলে যাই। সৈকত আমার জুনিয়র হওয়া স্বত্ত্বেও বিভিন্ন সময় আমাকে মোবাইলে ও ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবে তার সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি তাকে কোনো পাত্তা দেই নাই। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল জগন্নাথ বিশ্বদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসি। ক্যাম্পাসের ‘শান্ত চত্বরে’ অবস্থানকালে সৈকত পূর্ব পরিকল্পিত অবৈধভাবে তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশে আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে শীলতাহানি করে চলে যায়।’

তিনি আরও বলেন,‘ ঘটনার বিষয়ে আমি ও আমার সহপাঠীসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাই। প্রক্টরের নির্দেশে কোতোয়ালি থানা পুলিশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আসামিকে আটক করে। আটকের পরে সে তার নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং থানা পুলিশের সামনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003338098526001