জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম

জবি প্রতিনিধি |

নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট-১ (বিজ্ঞান শাখা) এর ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকি সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হেনস্তা করেছেন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১ম শিফটে জোড়সংখ্যার রোল এবং বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ২য় শিফটে বিজোড়সংখ্যার রোল নম্বরধারী পরীক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সকালের শিফটের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও বিকালের শিফটে শিক্ষকদের খামখেয়ালিপনার মাধ্যমে শেষ হয়। বিকালের শিফটে পরীক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার যানজটের কারণে দেরিতে উপস্থিত হলে প্রক্টরিয়াল বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলে প্রবেশের নির্দেশনা থাকলেও তা তোয়াক্কা করেনি আইন বিভাগের শিক্ষকরা।

আইন বিভাগের ৯১০ ও ৯১৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট পর দুই পরীক্ষার্থী সাদমান ইসলাম ও নাইমুল ইসলামকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এসময় তারা প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছে বললেও তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। অন্যদিকে পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিটি পর্যন্ত অন্য কক্ষে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করে। এসময় ঐ দুই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে ‘দ্য এশিয়ান এইজ’ এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মিনার আল হাসানের মোবাইল কেড়ে নেয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকি।

এসময় তাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয় এবং সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। এরপর প্রক্টর অফিসে সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে গেলে সহকারী প্রক্টর বিভাস কুমার সরকার সাংবাদিকদের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করেন।

এদিকে জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি বেঞ্চে তিন জন করে পরীক্ষার্থী বসানো হয়েছে। এমনকি তাদের প্রত্যেকের প্রশ্নের সেট একই। তাছাড়া কলাভবনের কিছুসংখ্যক শিক্ষককে পরীক্ষা চলাকালীন হল থেকে বের হয়ে দল বেঁধে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, রাস্তায় যানজট থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের পর পরীক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে দেয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু কোনো হলে ঢুকতে দিবে আবার কোনো হলে ঢুকতে দিবে না এরকম হওয়াটা দুঃখজনক। সাংবাদিক লাঞ্ছনার বিষয়ে তিনি উক্ত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, যানজটের বিষয়ে জানার পর মানবিক দিক বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময়ের পর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা ছিল। তারপরও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকলে এখন আর কিছু করার নেই।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই - dainik shiksha একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই অবসর কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার ফের তাগিদ - dainik shiksha অবসর কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার ফের তাগিদ সুধা রানী হাদিসের শিক্ষক পদে : এনটিআরসিএর ব্যাখ্যা - dainik shiksha সুধা রানী হাদিসের শিক্ষক পদে : এনটিআরসিএর ব্যাখ্যা শরীফ-শরীফার গল্প বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে - dainik shiksha শরীফ-শরীফার গল্প বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক - dainik shiksha শূন্যপদের ভুল চাহিদায় শাস্তি পাবেন কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক এক রুমে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ, পাঠদান বন্ধ - dainik shiksha এক রুমে ৩৫ ছাত্রী অসুস্থ, পাঠদান বন্ধ যৌ*ন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে - dainik shiksha যৌ*ন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036501884460449