জবিতে সেমিস্টার ফাইনাল বন্ধ করে শিক্ষাসফর!

জবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের ৯ম ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বন্ধ রেখে একই বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা সফরে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। হঠাৎ পরীক্ষার মাঝপথে এমন বিরতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে ৯ম ব্যাচের ৩য় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা।

এর আগে গত ১৩ মার্চ (সোমবার) প্রকাশিত পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী আগামী ২৭ মার্চ (সোমবার) দুপুর ১২টায় ‘রিয়াল অ্যানালাইসিস’ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক নোটিশে জানানো হয় অনিবার্য কারণবশত উক্ত পরীক্ষাটি স্থগিত করা হল। এই পরীক্ষা আগামী ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও এতে জানানো হয়।

নোটিশে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ না থাকলেও বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে যোগ দেওয়ার জন্যই মূলত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি। অন্যান্য বিভাগের ৯ম ব্যাচ যেখানে ৭ম সেমিস্টার ফাইনাল দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখন ৫ম সেমিস্টার ফাইনাল দেওয়া গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই চাইছেন না তাদের এই পরীক্ষা আর পিছিয়ে যাক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস না নেওয়া ও ক্লাসরুম সংকটের কারণে এমনিতেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের চেয়ে প্রায় দুই সেমিস্টার পিছিয়ে আছি। এখন আবার পরীক্ষার মাঝখানে বিরতি একদিকে যেমন আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটবে অন্যদিকে আমরা আবার পিছিয়ে যাব। আমরা শুনেছি আমাদের সিনিয়র ব্যাচের শিক্ষাসফরের কারণেই আমাদের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে, এটা কোনো সমাধান হতে পারে না। আমরা আমাদের পূর্বনির্ধারিত সময়েই পরীক্ষায় অংশ নিতে চাই।

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের সকল শিক্ষক ওই শিক্ষা সফরে যাচ্ছেন যে কারণে আমরা পরীক্ষা পিছিয়েছি, যা পরে নেওয়া হবে। আমরা চাইলে পরীক্ষা পরে শুরু করতে পারতাম কিন্তু তা না করে আগেই শুরু করেছি।

শিক্ষাসফরের জন্য পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি কিছু বলতে পারছি না। তবে বিস্তারিত জানতে তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে এম আক্তারুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। যদি এই পরীক্ষা পেছানোর ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আমাদের কাছে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা বিষয়টা দেখব।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022599697113037