র্যাগিং, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও যৌন নিপীড়নসহ নানা অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বোর্ডের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের অপরাধ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন। ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন, পদার্থ বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, রসায়নসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টার ও দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অপরাধে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এই দুই শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুল ইসলাম আশিককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। আশিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী সেলে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো কাছে নকল পাওয়া গেলে, আর সে যদি নকল নাও করে থাকে তাহলে কোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়। কেউ অসদুপায় অবলম্বন করলে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়। আর যদি খাতা নেয়ার সময় শিক্ষার্থী বাধা দেয় তাহলে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া অপরাধের নানা ধরন দেখে বহিষ্কার করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় ছোট অপরাধ হলে শিক্ষার্থীদের দিকটি আমরা দেখি। আর অভিযোগ গুরুতরভাবে প্রমাণিত হলে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।