পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আব্দুর রহমান হল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের জন্য উচ্ছেদ নোটিশ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। নোটিশে সাতদিনের মধ্যে হলটি খালি করতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হল ও ধূপখোলা মাঠ উদ্ধার কমিটি’ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ তথ্য জানিয়েছে। পাশাপাশি ওই হলসহ হাবিবুর রহমান হলে স্থাপনা নির্মাণের জন্য ডিসি অফিস বরাবর আবেদন দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
চিঠিতে আব্দুর রহমান হলের ২২ জন অবৈধ দখলদারদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদেরকে সাত দিনের মধ্যে দখলমুক্ত করার জন্য বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে জবি সংস্কার আন্দোলনের হল ও ধূপখোলা মাঠ সংস্কার বিষয়ক কমিটির সদস্য নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন
সংকটের চেয়ে বড় সংকট আর একটিও নেই। তাই জবি সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ দ্রুত হলগুলো পুনরুদ্ধার, পুনরুদ্ধারকৃত হলগুলোতে স্থাপনা নির্মাণ ও অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা। এই লক্ষ অর্জনে আমরা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবর্তন, জেলা প্রশাসক পরিবর্তনসহ সব প্রশাসনিক সেক্টরে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। এতে আমাদের কাজে কিছুটা বেগ পোহাতে হলেও আমরা এর ধারাবাহিকতা ব্যাহত হতে দেইনি।তিনি বলেন, ধূপখোলা মাঠ ও তৎসংলগ্ন ভবনটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থায়ী খেলার মাঠ ও হল হিসেবে পেতে সরকারের কাছে আবেদন জানাবো আমরা। এটিসহ দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত অস্থায়ী আবাসন ও ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবাসন সংকটসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সংকট দূর করে কাঙ্ক্ষিত বিদ্যাপীঠে রূপ দেয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমরা বেদখল হল উদ্ধারের জন্য কাজ করছি। কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। সেইসঙ্গে দুই হলের স্থাপনা ও লিজ প্রক্রিয়ায় কীভাবে শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেয়া যায় সেটি নিয়েও জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হয়েছে।