জবি কাউন্সিলিং সেন্টারে নেই কোন কাউন্সিলর, সেবা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

জবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কাউন্সিলিং সেন্টারে বিশেষজ্ঞ কাউন্সিলরের পরিবর্তে কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করছেন মনোবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ছাড়াই চলছে আমাদের আমাদের কাউন্সেলিং সেন্টার। নামমাত্র কাউন্সেলিং সেন্টার খুলে সেবা দিচ্ছেন তারা। অনেক শিক্ষার্থী আসলেও সেন্টারে কাউকে না পেয়ে চলে যেতে হয় বেশিরভাগ সময়।

সরজমিনে দেখা যায়, কাউন্সেলিং সেন্টারের দুটি ছোট কক্ষে বসে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মানে) অধ্যায়নরত দুজন শিক্ষার্থী। তারা একে অপরের সঙ্গে বসে গল্প করছেন একই কক্ষে। কোন শিক্ষার্থী সেবা নিতে আসছেন না বলে অলস সময় পার করছেন।

তারা বলেন, কাউনসিলিং সেন্টারে তাদের মত প্রতিদিন একই বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থী এখানে বসেন সেবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু কোন শিক্ষক কিংবা বিশেষজ্ঞ কেউ আসেন না এখানে। তাদের দিয়েই নামে মাত্র পরিচালনা করা হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে  রাজি হননি তারা।
 
জানা যায়, ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি  শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার জন্য স্বল্প পরিসরে উদ্বোধন করা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলিং সেন্টার। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছিলাম। এক সহপাঠীর পরামর্শে কাউন্সেলিং সেন্টারে এসেছিলাম সেবার জন্য। কিন্তু এখানে কোনো বিশেষজ্ঞ নেই যে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিবে। আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে যা আমার কাছের মানুষরা দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, সারাদেশে যেভাবে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করছে আমাদের এখুনি পদক্ষেপ নিতে হবে। কখন কি হয় বলা যায় না। এক কাউন্সিলিং সেন্টারের বছরে একটি আনন্দ রেলি এবং শোভাযাত্রা ছাড়া আমি কিছুই দেখি নাই। শিক্ষার্থীদের দিয়ে তো আর এমন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগটা চলতে পারে না। তাদের উচিত প্রতিটি বিভাগে এসে অভিহিত করা এবং  শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

কাউনসিলিং সেন্টারের পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, আমরা কাউন্সেলিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে সেবা দিয়েছি। আমাদের এইখানে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত কাজ করছে। আমরা সপ্তাহে চারদিন (মঙ্গলবার) বাদে আপাতত  সকাল ৯ টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকি। 

তিনি আরও বলেন, এখানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত, চাকুরির পরীক্ষার ভাইবা বোর্ডে ফেল করে, পারিবারিক , অর্থনৈতিক, একাকিত্ব এবং প্রেম সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসেন। আসলে আমাদের লোকবল এবং বিশেষজ্ঞ কোনো কাউন্সিলর নেই তবে আমরা চেষ্টা করি তাদের যথাসাধ্য সঠিক পরামর্শ দেয়ার জন্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের একাকিত্ব সঙ্গ দূর করতে হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রায় দুই লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাঁচ লাখ খাতা চ্যালেঞ্জ - dainik shiksha প্রায় দুই লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাঁচ লাখ খাতা চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা, রোজ সম্মানী পাবেন ৫০০ টাকা - dainik shiksha ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা, রোজ সম্মানী পাবেন ৫০০ টাকা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে বেসরকারি মেডিক্যাল-ডেন্টালের ভর্তি ফি নির্ধারণ - dainik shiksha বেসরকারি মেডিক্যাল-ডেন্টালের ভর্তি ফি নির্ধারণ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক ঢাবিতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধে গণভোটের দাবিতে বিক্ষোভ - dainik shiksha ঢাবিতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধে গণভোটের দাবিতে বিক্ষোভ নিম্নমানের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করে দেয়া হবে - dainik shiksha নিম্নমানের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করে দেয়া হবে আসিফ নজরুলের সাথে কি ঘটেছিল জেনেভা বিমানবন্দরে - dainik shiksha আসিফ নজরুলের সাথে কি ঘটেছিল জেনেভা বিমানবন্দরে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050239562988281