জবি ছাত্রীকে শ্লী*লতাহানির অভিযোগ ছাত্রের বিরুদ্ধে

জবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ  বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ১৪ ব্যাচের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সৈকতের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী পড়ালেখার পাশাপাশি ছোট পর্দায় অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরের এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে কোতয়ালি থানায় নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এ ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানান।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, এই ছেলে অনেক দিন ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে হ্যারাস করছিলো। মেসেঞ্জারে বাজে বাজে অকথ্য ভাষায় মেসেজ দিতো। কিন্তু আমি তার মেসজের উত্তর দিতাম না। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমি শান্তচত্ত্বরে সুন্দর মুহূর্তকে ধারণ করতে নিজের ভিডিও করছিলাম। এসময় মেহেদী হাসান সৈকত পেছন থেকে আমার স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে। এরপর আমি ভয় পেয়ে আমার পাশে থাকা ব্যাচমেট বন্ধুকে জানালে তাকেও মারধর করে সৈকত।

তিনি আরো জানান, আমি মিডিয়ায় অভিনয় করি। ক্যাম্পাসে আমার ফ্যান ফলোয়াররা আমার সঙ্গে দেখা করছিলো। আমি এ ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গেছি। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ এমন করতে পারে না। এ ঘটনায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।

এদিকে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঠেকাতে গিয়ে মারধরের শিকার নাট্যকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বিলাস দাস বলেন, আমার ব্যাচমেট বান্ধুবী নিজের ছবি ও ভিডিও করছিলো। এসময় মেহেদী হাসান সৈকত তার স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে। এসময় আমার বান্ধবী ভয় পেয়ে আমাকে বিষয়টি জানালে ওই ছেলে আমার গায়ে হাত তোলে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা লিখিত বক্তব্য পেয়েছি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হবে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া অভিযুক্ত ওই ছেলেকে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025978088378906