পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটসহ খোলাবাজারে পবিত্র জমজম কূপের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আনুষ্ঠানিক সেমিনারে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, খোলাবাজারে এটা কীভাবে এলো, কিসের ওপর ভিত্তি করে আপনারা এ পবিত্র পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্দেশনা অমান্য করে যদি এরপরও কোনো ব্যবসায়ী এই পবিত্র পানি বিক্রি করেন, তাহলে সেই দোকান আমরা সিলগালা করে দেব। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করবে। এছাড়া ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও যারা জমজম কূপের পানি বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেমিনারে ব্যবসায়ীরা জানান, হজ বা ওমরাহ পালন করতে গিয়ে হাজিরা এ পানি দেশে নিয়ে আসছেন, এরপর তা বিক্রি করছেন চড়া মূল্যে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীতে প্রকাশ্যে প্রতি লিটার জমজম কূপের পানি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সময় সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের। বায়তুল মোকাররম মসজিদের পশ্চিম অংশের মার্কেটে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান অধিকাংশ ব্যবসায়ী। তবে সেদিন ঘটনার সত্যতা পেলেও চিহ্নিত করা যায়নি মূলহোতাকে। এদিকে জমজমের পানি বিক্রিযোগ্য কি-না, এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শরণাপন্ন হলে, সেখানেও মেলেনি কোনো উত্তর। এ জন্য বিষয়টি নিয়ে সোমবার সকালে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সেমিনারে বসে ভোক্তা অধিদফতর।
বৈঠকে বারবার ব্যবসায়ীদের কাছে পানি আমদানিকারকের নাম জানতে চাওয়া হলেও মেলেনি কোনো সদুত্তর। আগামী দুদিনের মধ্যে বায়তুল মোকারম মসজিদ ব্যবসায়ী সমিতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশে জমজম কূপের পানি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, প্রতি লিটারের জমজম পানির দাম ১ হাজার টাকা। বায়তুল মোকাররম মসজিদের পশ্চিম অংশের মার্কেটসহ আশপাশের প্রায় ১৫০টি দোকানে বিক্রি করা হয় জমজম কূপের পানি।