পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি জামিল হাসান যেন একালের ভূস্বামী- এমন একটি খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা। নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে বদলি হতে হলো ডিআইজি জামিল হাসানকে। তাকে বরিশাল রেঞ্জের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক পদ থেকে সরিয়ে হাইওয়ে পুলিশের একই পদে বদলি করা হয়েছে।
রোববার (২৩ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। জামিল ছাড়াও ওই প্রজ্ঞাপণে পুলিশের এক অতিরিক্ত আইজিপি ও নয় ডিআইজিকে বদলি-পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়া একইদিন পৃথক আরেক প্রজ্ঞাপনে ১৪ জেলায় নতুন এসপি পদায়ন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআইজি জামিল রিসোর্ট করার জন্য জমি কিনেছেন ৪০ একর (১২০ বিঘা)। নিজের পৈতৃক বাড়িটি নতুন করে গড়েছেন ৩০ বিঘা জমির ওপর। এর পাশেই আছে অন্তত ৩৬ বিঘা জমির ওপর গরুর খামার। এর সঙ্গে আছে গরুর হাট, যে হাট থেকে ইজারা নেন তারাই। তার এসব জমি বরিশালের উজিরপুর উপজেলায়। এর বাইরে ঢাকায় তার আছে দু’টি ফ্ল্যাট, এর একটিতে তার পরিবার বসবাস করে। অন্যটি প্রস্তুত হচ্ছে। গত চার-পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি এই সম্পদ করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ২০তম ব্যাচে এএসপি হিসেবে জামিল হাসান যোগদান করেন। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চাকরি করেছেন তিনি। ছিলেন ক্ষমতার সর্বোচ্চ মহলের আশপাশে। চার বছরেরও বেশি সময় তিনি ফরিদপুরের এসপি হিসেবে দাপটের সঙ্গে চাকরি করেছেন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি র্যাব-৮ এর (বরিশাল) কমান্ডিং অফিসার হিসেবে চাকরি করার সময় গোপালগঞ্জে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের জমি কেনাতে তদারকি করেছেন। সে সময়ের পুলিশ প্রধানের বিশ্বস্ত হওয়ার কারণে তার প্রভাব ছিল অনেক বেশি।