খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রথম পর্যায়ে জমি দেখা হয়েছিল রূপসা সেতুর বাইপাস সড়কের পাশে। কিন্তু প্রকল্প ব্যয় কমাতে কম দামে ১০০ একর জমি পেতে সরকারি খাস জমি লাগোয়া জমি খোঁজা হচ্ছে। নগরীর লবণচরা থানার পাশে জমি দেখা হয়েছে। সব কিছু চূড়ান্ত হবে নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর।
এদিকে খুলনায় দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে 'শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়'। গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিসভায় 'শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, খুলনা-২০২০'-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখন এই আইন সংসদের আগামী অধিবেশনে উঠবে। সংসদে আইন পাস এবং দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষ করেই উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হবে।
খুলনায় পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আন্দোলন করে আসছে খুলনার মানুষ। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফরের আগে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানানো হয়।
জানা গেছে, খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে গত বছর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন। পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক বলেন, 'সংসদে আইন পাসের পর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রকল্প তৈরি করবেন এবং জমি চূড়ান্ত করে অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দেবেন। আমরা জমি অধিগ্রহণ করে দেব।' তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণ ব্যয় কমাতে খাস জমি-সংলগ্ন জমি খোঁজা হচ্ছে। এতে দ্রুত কাজ শুরু করা সহজ হবে।