সম্প্রতি সাভারের আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত বড়ওয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এ ঘটনার পর ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির অপর একটি ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। পুরাতন ঐ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর বিদ্যালয়টিতে শ্রেণিকক্ষের সংকট দেখা দিয়েছে। একটি মাত্র ভবনেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হচ্ছে শিক্ষকদের। ফলে বিদ্যালয়টিতে পাঠদানের সঠিক পরিবেশ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া। পুরাতন ভবনটি সংস্কার বা নতুন কোনো ভবন নির্মিত না হওয়ায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি দ্রুত ভবনটি সংস্কার অথবা ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক।
সম্প্রতি বড়ওয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একতলা ভবনের টিচার্স রুমে শিক্ষকরা বসে থাকাকালীন হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে ছাদ ও বিমের পলেস্তারা খসে পড়তে থাকে। এ সময় সবাই ঐ কক্ষ থেকে দৌড়ে বের হয়ে যান। এর কয়েক ঘণ্টা পর ঐ ভবনের পশ্চিম পাশের শ্রেণিকক্ষের ছাদের বিমের পলেস্তারাও খসে পড়ে। এতে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক জাহানারা আক্তার ও লুৎফা আরা বেগম নামে তিন শিক্ষক আহত হন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার জানান, স্কুলের দুটি ভবনের মধ্যে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত ভবনটি পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনার পর বিষয়টি উপজেলা অফিসকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একটি দল বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি পরিদর্শন করে ভবনটি ব্যবহারে নিষেধ করেছেন। এজন্য শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতা সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী ভবনটিতে শিক্ষাকার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তাই শিক্ষার কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরাতন ভবনটি সংস্কার অথবা নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাবশিরা ইসলাম বলেন, নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী তিনতলা ভবনটি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। দ্রুতই নতুন ভবনের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।