টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার মাওলানাপাড়া সালাফিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসায় এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে মাটির ঘরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস। চাহিদা অনুযায়ী অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় প্রযুক্তিগত আধুনিক শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে মাদরাসাটির প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত মাদরাসাটি ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে দাখিল শাখায় এমপিওভুক্ত হয়। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে আলিম স্তর এমপিওভুক্ত হয়। এই মাদরাসায় চারটি বিভাগ চালু আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হতেয়া মাওলানাপাড়া গ্রামের এ মাদরাসায় আছে ১০৫ ফুট লম্বা জরাজীর্ণ একটি মাটির ঘর। ঝুঁকি নিয়ে সে ঘরে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ঝড়বৃষ্টিতে যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে এ ঘর। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নেই, তবুও চারতলা ভবন বরাদ্দ দেয়া হয়। আর আমাদের পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী থাকার পরেও পাকা ভবন নেই। বসার জায়গা দিতে পারি না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো হলেও এ একটি কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে না।
মাওলানাপাড়া সালাফিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি এ বছরই যোগদান করেছি। বিষয়টি কষ্টকর। ঝড়বৃষ্টির দিনে অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের মাদরাসায় পাঠাতে চান না শুধুমাত্র এ কারণে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জুয়েল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মাদরাসার পড়াশোনার মান ভালো। তবুও ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়াতে পারি না এর একমাত্র কারণ হচ্ছে এ মাটির ঘরে পাঠদান। আমরা এখন আশঙ্কায় আছি যে এ মাটির ঘরে পাঠদানের কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যেতে পারে।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলমের কাছে জমা দিয়েছি।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের মাধ্যমে সরকারের কাছে একটি ভবনের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।