শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতির পিতার সকল লড়াই আন্দোলন-সংগ্রামের নেপথ্যে সাহস ও অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গমাতা। সমাজে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও নারী ক্ষমতায়নের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলছে। নারী সমাজের উন্নয়নে সরকারের এসব পদক্ষেপের কারণে বিজ্ঞান প্রযুক্তিসহ সব পেশায় নারীরা অগ্রসর হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের উদ্যোগে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের আদর্শ অনুসরণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব জনগোষ্ঠীর সমন্বিত উন্নয়ন ছাড়া সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের যুগন্তকারী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে নারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, এ ইউনাইটেড ন্যাশনস রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর স্যোশাল ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর ফ্রান্সিসকো কস মনটিয়েল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হকসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চন্দ্র তালপাড়ে মোহান্তি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।