প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘে সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান সদৃঢ় হয়েছে। সামগ্রিক বিবেচনায় এবারের অধিবেশনে অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল হয়েছে।
জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এই সফরে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সফর শেষে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।
লন্ডনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।
এ সময় বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠিত অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ২৩-২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।