বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন সহকারী শিক্ষকরা। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে ক্লাস না করেই বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। উপজেলার ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা গতকাল শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রেখে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করেন।
উপজেলার দুমকী এ.কে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নাসিমা কেরামত আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতানী আমির উদ্দিন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আঙ্গারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাবেরা আজিজ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরগরবদী আবুল কাশেম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরবয়েড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মমতাজ উদ্দিন, পাঙ্গাশিয়া বালিকা বিদ্যালয়, নলদোয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লতিফ মোহসেনা পাবলিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করে শিক্ষকরা তাদের মিলনায়তনে বসে সময় কাটাচ্ছেন। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে খোশগল্পে মশগুল।
আবার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ক্লাস বর্জন দেখে তারা অনেকেই বাড়িতে চলে যায়। শিক্ষার্থীদের দোকানে আড্ডা দিতেও দেখা যায়। জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, স্কুলে ক্লাস হয়নি। শুনেছি স্যারেরা আন্দোলন করছেন। আঙ্গারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বি ও মুসফিকা ইসলাম কান্তাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা স্কুলে এসে দেখি স্যারদের ক্লাস বর্জন তাই বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। আঙ্গারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদেরও স্কুল খোলা রয়েছে।
দাবি আদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষকরা। বাঁশবুনিয়া মেহেরুন নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, গতকালও স্কুল খোলা রয়েছে তবে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলছে। সাবেরা আজিজ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, আমাদের বিদ্যালয় খোলা রয়েছে। শিক্ষকগণ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেছেন। ছাত্রীদের উপস্থিতি কম হওয়ায় ক্লাস তেমন হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুন নাহার ইয়াছমিন জানান, তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না। তবে শুনেছেন বিদ্যালয়গুলো খোলা রেখে শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করছেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।