জতীয়করণ শব্দটি আজকাল পত্রপত্রিকার একটি প্রধান আলোচ্য বিষয় এবং সাংবাদিক মহোদয়গন এ বিষয়ে খুব আগ্রহ সহকারে সংবাদ পরিবেশন করে জাতীয়কণের যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তুলে ধরতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আর এদিক থেকে দৈনিক শিক্ষার ভূমিকা অতুলনীয়।
গত প্রায় তিন বছর ধরে দৈনিক শিক্ষার ভূমিকায় যোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠান তালিকায় স্থান পেয়েছে ও অযোগ্য বহু প্রতিষ্ঠান বাদ হয়েছে। দৈনিক শিক্ষার ভূমিকা এতটাই জনপ্রিয় যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালকও বিদায় অনুষ্ঠানে দৈনিক শিক্ষাকে উপদেশ দিয়ে গিয়েছেন।
আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগীতায় মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক শিক্ষায় রুপান্তর করতে শতভাগ সফল হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে একমাত্র যোগ্য ছাত্র ছিল মাদ্রাসা থেকে।
প্রতি বছর একাডেমিক পরীক্ষায় মাদ্রাসার ছাত্ররা সারাদেশে পাশের হারে বেশি। সমস্যা একটাই মাদ্রাসা বলে কথা। যত দোষ নন্দ ঘোষ। আর এ জন্যই সারা বাংলাদেশে জাতীয়করণের তালিকায় একটি মাদ্রাসাও স্থান পায়নি। দৈনিক শিক্ষা কি এ অসহায় মাদ্রাসা শিক্ষাদের জাতীয়করণের দাবি তুলে ধরবে? এখন আমাদের প্রয়োজন দৈনিক শিক্ষার ভূমিকা । মহান এ পত্রিকার ভূমিকায় হয়তো দুই একটি মাদ্রাসা জাতীয়করণের তালিকায় স্থান পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
লেখক: ইংরেজি প্রভাষক, গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।