জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন যোগ্যতা বাড়ানোর নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন যোগ্যতায় এসএসসি ও এইচএসসির গ্রেডপয়েন্ট বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।  এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু না করার দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।

সোমবার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেড পয়েন্ট বৃদ্ধির নিন্দা জানান।

আরও পড়ুন : ভর্তির যোগ্যতা বৃদ্ধিতে লাভবান হবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়

তারা বলেন, বিগত বছরগুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন যোগ্যতায় এ গ্রেডপয়েন্ট ছিল ২.০০। এবার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞপ্তিতে হঠাৎ করেই তা বাড়িয়ে মানবিক বিভাগের জন্য এসএসসিতে ৩.৫ ও এইচএসসিতে ৩.০ এবং বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এসএসসিতে ও এইচএসসিতে ৩.৫ যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পার করে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিট সংকুলান না হওয়ায় উচ্চ শিক্ষার জগতে প্রবেশের জন্য তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল হিসেবে সর্বাগ্রে থাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এ গ্রেড পয়েন্ট বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশাল অংশের শিক্ষার্থীদের জন্য সেই দ্বারকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এটি সরকারের শিক্ষা সংকোচন নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।

তারা আরও বলেন, উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য এ পদক্ষেপ এমন কথা বলা হচ্ছে। অথচ শিক্ষা ব্যবস্থায় ধনী-গরীব, গ্রাম-শহর নারী-পুরুষ বৈষম্য চালু রেখে, পর্যাপ্ত মান সম্মত শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি না করে, বাণিজ্যিকীকরণ অব্যাহত রেখে শুধুমাত্র গ্রেড পয়েন্ট কম থাকার অজুহাত দেখিয়ে এতগুলো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। এটি কোনো মান ঠিক রাখার উদ্যোগ নয়, এটি একটি ছাঁটাই প্রক্রিয়া, যা ক্রমশ আরও আগ্রাসী হবে। এ ছাড়াও প্রতি বছর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলা হয় এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল অংশের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এই ধরনের ভর্তি বাণিজ্য ও মুনাফালোভী পদক্ষেপ বন্ধেরও আমরা দাবি জানাচ্ছি।

এ চূড়ান্ত ছাত্র স্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান ছাত্র ফ্রন্টের নেতারা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004951000213623