বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষায় কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ইউনেস্কো। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিশ্বের যে ১০টি দেশে সর্বাধিক বাস্তুচ্যুত রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য নয়টি দেশ ওই বাস্তুচ্যুতদের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের জাতীয় শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংস্থার 'গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট-২০১৯'-এ এই সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনে অভিবাসী ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর শিক্ষা চাহিদা অনুযায়ী একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করারও সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর বাংলাদেশে ভূমিকম্প, বন্যা এবং নদীভাঙনে ৯০০টির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এ কারণে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এতে বলা হয়, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা করে। এর মাধ্যমে মেধা পাচার হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউনেস্কোর ঢাকা কার্যালয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গিয়ে লেখাপড়া করে অনেকে ফিরে আসছেন। তারা তাদের মেধাকে দেশের উন্নয়নে ব্যয় করছেন। তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে জিডিপির চার শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, ক্রমান্বয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ইউনেস্কোর প্রতিবেদনে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নতির সঠিক চিত্র উঠে আসেনি। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষাব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেসব বিষয় এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, ইউনেস্কোর প্রতিনিধি, দাতা সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।