জানুয়ারির মধ্যে সব শ্রেণির শতভাগ বই দেয়া সম্ভব না হলেও সর্বোচ্চ সংখ্যক দেয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, আজকের বৈঠকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক দ্রুত ছাপাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রাকপ্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪০ কোটি। এনসিটিবির হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রাথমিকের ১০ কোটির মধ্যে চার কোটি বই ছাপানো শেষ হয়েছে। সমান তালে চলছে মাধ্যমিকের বই ছাপার কাজ।
তবে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও বাড়তি দরকার আরও পাঁচ কোটি টাকা।
বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আরও ৫২৬ কোটি টাকার অনুমোদন দেয়া হয়।
পরে অর্থ উপদেষ্টা জানান নবম ও দশম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক দ্রুত ছাপাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাজার মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ওঠা-নামা করায় দেশের বাজারেও সব পণ্যর দাম এক সঙ্গে কমে না।
এদিকে বাজারে আলুর দাম কমানো চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই ঘন ঘন বৈঠক করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রুত আমদানির অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। বৈঠকে সার, এলএনজি, মসুরডাল, তেল ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।